প্রতীকী ছবি।
দেশে প্রতিষেধকের ঘাটতি মেটাতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। এ দেশে এখনও ব্যবহার হয়নি এমন বিদেশি সমস্ত প্রতিষেধক প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র দিতে চলেছে কেন্দ্র। যার ফলে প্রতিষেধকের ঘাটতি মেটানো যাবে বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা।
এ দেশে প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-কে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। পাশাপাশি চলতি বছরেই জনসন অ্যান্ড জনসন, জাইডাস ক্যাডিলা, সিরাম ন্যাভোভ্যাক্স এবং ভারত বায়োটেকের ন্যাসাল ভ্যাকসিন-সহ মোট ৫টি প্রতিষেধকও দ্রুত ছাড়পত্র পেতে চলেছে। এর বাইরে যে সমস্ত বিদেশি প্রতিষেধক অন্যান্য দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলিকেও ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
দেশে সংক্রমণের সূচক গত দু’মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। করোনা-যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার, প্রতিষেধকেই দেখা দিয়েছে ঘাটতি। প্রতিষেধক চেয়ে কেন্দ্রের কাছে রোজ আবেদন করছে একের পর এক রাজ্য। গোড়ার দিকে দেশে প্রতিষেধকের চাহিদা কম থাকায় ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’-র লক্ষ্যে প্রায় ৬ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক বিভিন্ন দেশকে দিয়েছে ভারত। বাইরের দেশে ভারতের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হলেও এখন তা কার্যত বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী সরকারের কাছেই।
গত ক’দিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিষেধক চেয়ে একের পর এক আবেদন আসছে কেন্দ্রের কাছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ওড়িশা এবং রাজস্থানও কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে। বহু টিকা কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ারও খবর আসতে শুরু করেছে।
বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রতিষেধকের বণ্টন ঘিরে আবার স্বজনপোষণেরও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। যেমন মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ১২ কোটির কাছাকাছি। কেন্দ্র তাদের দিয়েছে ১.৬ কোটি ডোজ় যেখানে গুজরাতের জনসংখ্যা সাড়ে ৬ কোটি অর্থাৎ মহারাষ্ট্রের অর্ধেক হলেও প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে প্রতিষেধক গিয়েছে প্রায় ১.৫ কোটি ডোজ়।
সংক্রমণ রোখার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার প্রতিষেধক। প্রতিষেধকের ঘাটতি মেটাতে তাই এ বার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র।