পার্লামেন্ট
পাকিস্তানকে সামরিক ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা দেওয়া নিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রশাসনের কাছে গিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এবং নয়াদিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সাউথ ব্লক এই নিয়ে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে মার্কিন সামরিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। মার্কিন প্রশাসনকে সে বিষয়ে জানানো হয়েছে।’’ আমেরিকা অবশ্য জানিয়েছে, ইসলামাবাদকে সামরিক সাহায্য বন্ধ করার যে নীতি তারা নিয়েছিল, তার থেকে তারা সরে আসেনি। আমেরিকারই দেওয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং কাজ চালানোর জন্যই তারা এই সাড়ে আটশো কোটি টাকার চুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে করেছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকার এই যুক্তিতে সাউথ ব্লকের কতটা উদ্বেগ দূর হবে, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় থেকেই যাচ্ছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক কর্তা সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা বহালই আছে। এখন শুধু আমরা প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মেনে এবং দু’দেশের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানকে নিরাপত্তা বিষয়ে কিছু সাহায্য করব। এতে আমাদের জাতীয় সুরক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিও সুরক্ষিত হবে। উন্নতির সুযোগও থাকছে।’’ তবু একটা খটকা থাকছেই। বালাকোট অভিযানের পরে ভারতের বিরুদ্ধে এই এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সফর শেষেই এই নয়া সিদ্ধান্ত আমেরিকা-পাক সখ্যকেই নতুন করে তুলে ধরছে, যা ভারতের কাছে বিপদসঙ্কেত। পেন্টাগন সূত্রের খবর, গত বছর জানুয়ারি থেকেই পাকিস্তানকে নিরাপত্তা খাতে সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প সরকার। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। তবে, তার মধ্যেই নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে এফ-১৬ বিমানগুলিকে প্রযুক্তিগত ভাবে দেখভাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ নিয়ে কাঁটাছেঁড়া চলছে কূটনৈতিক শিবিরে।