জলসীমায় নিরাপত্তা বাড়াল নৌ বাহিনী। ছবি: টুইটার
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করা এবং তাকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে ফেলা নিয়ে ভারত বিরোধিতার সুর চড়াচ্ছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে ব্যবহার করার কৌশলও জারি রেখেছে ইসলামাবাদ। আর তাতে ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। এই আবহেই এ বার উত্তর আরব সাগরে নৌ বাহিনীর মহড়া শুরু করেছে ইমরান সরকার। পরিস্থিতি আঁচ করে নিজের জলসীমায় নিরাপত্তা আরও বাড়াচ্ছে ভারত।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর আরব সাগরে মহড়া চালাচ্ছে পাক নৌ বাহিনী। তা চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট এবং আরও নানা সমরাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হবে। এ জন্য ওই এলাকা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে বাণিজ্য তরীগুলিকে সতর্কও করেছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, সাত থেকে আটটি পাক পাক যুদ্ধ জাহাজ মহড়া চালাচ্ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই মহড়ার সময় পাক সেনা বা ওই সুযোগ নিয়ে জলপথে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে। সূত্রের খবর, প্রতি বছরই যৌথ ভাবে নৌ এবং বিমান মহড়া চালায় পাকিস্তান। কিন্তু, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। তাই প্রতিবেশী দেশের থেকে কোনও রকম ‘দুঃসাহসিক প্রতিক্রিয়া’ আসতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আরব সাগরে নিরাপত্তায় আরও জোর দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। নিজের জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ছা়ড়াও পসাইডন-৮১ নামে নজরদারি বিমানও মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে যুদ্ধ বিমানও।
আরও পড়ুন: হাফিজ সইদকে টাকা তোলার অনুমতি দিতে আবেদন পাকিস্তানের, সায় রাষ্ট্রপুঞ্জের
আরও পড়ুন: অপেক্ষাই সার, ছুটির মেয়াদ ফুরলেও কাজে যোগ দিলেন না রাজীব কুমার
পুলওয়ামা হামলার পর, বিমানহানায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বালাকোটে জইশের জঙ্গি ঘাঁটি। কিন্তু, তার মাত্র সাত মাসের মাথায় বালাকোটের সেই জঙ্গি শিবিরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এমন সময়ে তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ নৌ বাহিনী। দু’দেশের কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই গত মাসেই শাহিন ৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে পাকিস্তান। তাই এ বারও সতর্ক নয়াদিল্লি।