রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে গুলিচালনার দাবি করেছে পাকিস্তান। ছবি: পাক সেনার মুখপাত্রের টুইটার অ্য়াকাউন্ট থেকে সংগৃহীত।
নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) বরাবর এলাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে ভারতীয় সেনার হামলার যে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। সরকারি ভাবে এ নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি না করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের দাবি, এলওসি-তে এমন কোনও হামলাই হয়নি। পাকিস্তানের এই অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য।
শুক্রবার পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়, এলওসি-তে চিরিকোট সেক্টরে রাষ্ট্রপুঞ্জের দুই আধিকারিকের গাড়িতে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাক বিদেশ মন্ত্রকের পাশাপাশি সে দেশের সেনাবাহিনীর মিডিয়া সহযোগীও একই অভিযোগ করে। পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়ির ছবি টুইট করে দাবি করেন, ‘ভারত-পাকিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মিলিটারি অবজার্ভার গ্রুপ (ইউএনএমওজিআইপি)-এর দুই আধিকারিককে নিয়ে যাওয়ার সময় এলএসি-তে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনার তরফে গুলি চালানো হয়। ওই দুই আধিকারিক অক্ষত থাকলেও গাড়িটির জানলার কাচ এবং যন্ত্রাংশ ভেঙেছে। আধিকারিকদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে অক্ষত অবস্থায় পাকিস্তানের রাওয়ালকোটে নিয়ে গিয়েছে পাক সেনা’।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ চৌধুরিও ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ চিরিকোট সেক্টরে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যাচ্ছিলেন ওই আধিকারিকেরা। সে সময় এই ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুন: দাবানলের মতো ছড়িয়েছে করোনা, আরও সতর্কতা জরুরি, মত সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কোথায়, কী ভাবে, পদ্ধতি জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
তবে এই অভিযোগ খণ্ডন করে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে হামলা করা নিয়ে পাকিস্থানের তরফে যে সমস্ত খবর প্রকাশ্যে আসছে, তা একেবারেই মিথ্যা এবং তথ্যগত ভাবে অসত্য।” তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার ভারতের দিক থেকে চিরিকোট সেক্টরে কোনও গুলিচালনার ঘটনাই হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়ির যাতায়াতের বিষয়টি আমরা আগে থেকেই অবগত ছিলাম। ফলে ওই এলাকায় গুলিচালনার প্রশ্নই উঠে না। এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।”
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, শ্রীনগর এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ইউএনএমওজিআইপি-র অফিস থাকলেও ভারত সরকারের তরফে তা স্বীকৃত নয়। এবং শুক্রবার ওই হামলার অভিযোগ যে পুরোপুরি ভুয়ো তা ফের এক বার দাবি করেছে ভারত।