গিলগিট-বালটিস্তান— ফাইল চিত্র।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোটের ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক বৃহস্পতিবার ইমরান খান সরকারের এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করল। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘পাকিস্তান সরকারের এই পদক্ষেপের কোনও আইনি বৈধতা নেই। এই প্রক্রিয়ার গোড়াতেই গলদ। কারণ, গিলগিট-বালটিস্তান পাক সেনার দ্বারা অবৈধ ভাবে, জোর করে দখল করা ভূখণ্ড।’’
আগামী ১৫ নভেম্বর গিলগিট-বালটিস্তান প্রাদেশিক আইনসভার ভোটের দিন ঘোষণা করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অনুরাগের যুক্তি, গত অগস্ট মাসে সংসদের অনুমোদন পেয়ে কার্যকর হওয়া জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী গিলগিট-বালটিস্তান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর কথায়, ‘‘গিলগিট –বালটিস্তানে ভোট ঘোষণা করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।’’
ব্রিটিশ জমানায় ‘রাজন্যশাসিত রাজ্য’ জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ ছিল কারাকোরাম পর্বত ঘেরা গিলগিট-বালটিস্তান। পাকিস্তান ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকার কিছু অংশের পাশাপাশি ওই অঞ্চলটিও দখল করে। কিন্তু গিলগিট-বালটিস্তানকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের নিয়ন্ত্রণে না এনে ‘ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্টারড নর্দার্ন এরিয়া’ নাম দিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বেলা সাড়ে ১২টায় ঘোষণা বিহারের বিধানসভা ভোটের দিন
নয়া নামকরণের পরে ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে প্রথম স্থানীয় আইনসভার ভোট হয় গিলগিট-বালটিস্তানে। সে সময়ও নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করা হয়েছিল। চলতি বছরের গোড়ায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট সেখানে প্রাদেশিক আইনসভার ভোট করানোর জন্য পাকিস্তান সরকারকে ২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কৃষি বিল নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে, দাবি প্রধানমন্ত্রীর
এর পর নরেন্দ্র মোদী সরকার পাকিস্তানকে ‘কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র’ (ডিমার্শ) পাঠায়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সেখানে ভোটের সিদ্ধান্তে অটল থাকে ইসলামাবাদ। গত ১৮ অগস্ট প্রাদেশিক আইনসভার ২৪টি আসনে ভোটের দিন স্থির হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছনো হয়।