গালওয়ান-প্যাংগংয়ে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে দু’দেশই। —ফাইল চিত্র
গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেক-সহ ভারত চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী দু’দেশই। তার প্রক্রিয়া চলছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে। ভারতীয় সেনার একাধিক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ৩০ জুন কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে দু’পক্ষই সেনা সরানোয় প্রাধান্য দিয়েছে বলে সেনার একটি সূত্র জানিয়েছে।
মে মাসের গোড়ায় প্যাংগং লেক বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিপুল সেনা মোতায়েন করে চিন। তার জবাবে ভারতও সেনা সমাবেশ শুরু করে। ফলে নয়াদিল্লি-বেজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তৈরি হয় টানাপড়েন। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই থিতিয়ে আসার মুখেই গালওয়ানে দ’পক্ষের সেনা সংঘর্ষ ঘটে যায়। তার জেরে লাদাখে ভারত চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার প্রায় সর্বত্রই উত্তেজনা তৈরি হয়।
প্যাংগং লেকে সেনা মোতায়েনের পর থেকেই শুরু হয়েছিল ভারত-চিন কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক। ৩০ জুন সেই পর্বের তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠক সূত্রেই খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশই। ভারতীয় সেনার একটি পদস্থ সূত্রে জানানো হয়েছে, দু’পক্ষই সেনা সরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছে। ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলছে। ৩০ জুন কোর কমান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্রুত ও ধাপে ধাপে সেনা সরানোর বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েছে। গত ১৭ জুন দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভাবে পরিস্থিতি সামলানো হবে।
আরও পড়ুন: চিনের বিরুদ্ধে ‘আর্থিক ত্রিশূল’ হামলা দিল্লির
আরও পড়ুন: এক সফরে দুই বার্তা দিতে রাজনাথ কাল লাদাখে
তৃতীয় কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে ওই সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ধরে পেশাদার পদ্ধতিতে বৈঠক হয়েছে। দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে সহমত হয়েছে। কিন্তু সেনা সরানোর প্রক্রিয়া জটিল। তাই এই পরস্থিতিতে জল্পনা বা ভিত্তিহীন রিপোর্ট এড়িয়ে চলা উচিত। পারস্পারিক সমঝোতায় পৌঁছতে দু’পক্ষের মধ্যে আরও সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের বৈঠক হবে। অর্থাৎ গালওয়ান-প্যাংগং নিয়ে নয়াদিল্লি-বেজিং দু’পক্ষই যে এখন অনেকটাই নমনীয় অবস্থান নিয়েছে, সেনার ওই