মায়ের কোলে থাকা সন্তোষের চার বছরের ছেলে অনিরুদ্ধ।—ছবি পিটিআই।
ঘরের ছেলেকে চোখের জলে বিদায় জানাল তেলঙ্গানার সূর্যপেট। লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের নিহত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল বি সন্তোষ বাবুর শেষকৃত্যে মানুষের ঢল। পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক জমিতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে নিহত সেনা অফিসারের। কয়েকশো মানুষের সঙ্গে মায়ের কোলে থাকা সন্তোষের চার বছরের ছেলে অনিরুদ্ধও স্যালুট করে বিদায় জানাল বাবাকে।
গত কাল রাতে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে তেলঙ্গানায় বায়ুসেনার হামিকপেট ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় সন্তোষের দেহ। আজ ভোরে সূর্যপেট শহরে নিজের বাড়িতে পৌঁছয় সন্তোষের কফিনবন্দি দেহ। শবদেহবাহী গাড়ি শহরে ঢোকার সময়ে বারান্দা থেকে পুষ্পবৃষ্টি করে সম্মান জানান অনেকে। সন্তোষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সূর্যপেট শহরের দোকানপাট আজ বন্ধ রাখা হয়। ভোর থেকেই সন্তোষের বাড়ির সামনে জড়ো হন এলাকাবাসী। বাবাকে শেষ বার দেখার জন্য নিহত অফিসারের ছেলেমেয়েকে যখন কফিনের সামনে নিয়ে আসা হয়, তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকেই।
শ্রদ্ধা: চিনা সেনার হামলায় নিহত সুবেদার মনদীপ সিংহের শেষকৃত্যে তাঁর পরিবার। পাটিয়ালায়। পিটিআই
লাদাখে নিহত হয়েছেন আর এক জওয়ান ২২ বছরের গুরুবিন্দ সিংহ। গত বছর তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। ঠিক ছিল এ বছর ছুটিতে এসে বিয়ে সারবেন তিনি। পঞ্জাবের সাঙ্গরুরের টোটাবাল গ্রামের বাসিন্দা গুরুবিন্দ ২০১৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৫ দিন আগেও ফোনে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। আজ ফেরে এই যুবকের কফিনবন্দি দেহ। পঞ্জাবে ফিরেছে আরও তিন জওয়ান সতনাম সিংহ, মনদীপ সিংহ ও গুরতেজ সিংহের দেহ। লাদাখে নিহত ২০ জন জওয়ানের দেহ আজ ফিরেছে ১০টি রাজ্যে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কেন ভারতীয় সেনার ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ হল না, উঠছে প্রশ্ন
আরও পড়ুন: সামরিক, কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চিনকে পিছু হটানোর চেষ্টায় ভারত