India-China

মোদীর ব্যাখ্যাই সুর বদলে দেয় বৈঠকের

বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পরের দিন সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০৪:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

গত সপ্তাহে চিন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হল। কিন্তু সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে উপস্থিত মোদী সরকারের সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং এস জয়শঙ্কর চেষ্টা করেছিলেন, সতর্কতার সঙ্গে চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি তুলে ধরতে। চিনা সেনার অবস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য এড়িয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নিয়ে মতভেদ এবং ভারতীয় সেনার বীরত্বকে স্মরণ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন বক্তৃতা। তবে হয়নি প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরে।

Advertisement

সর্বদল বৈঠকে সবার শেষে বলতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে আসেনি। ভারতের কোনও সেনা চৌকিও অন্য কারও দখলে নেই।’ এর পরে বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পরের দিন সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, একেবারে শেষ লগ্নে মোদীর মন্তব্যের আগে পর্যন্ত সরকার এবং সেনাকে সমর্থনের পথেই চলছিল বিরোধী দলগুলি। বৈঠকের শুরুতেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ভারতীয় সেনাদের শৌর্যের কথা স্মরণ করে প্রশংসা করেন। বলেন, তাঁদের লড়াইয়ের পাশে পুরোপুরি রয়েছে সরকার। সূত্রের খবর, বৈঠকের মাঝে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে এক বার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চিনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে গোয়েন্দা বিভাগ ব্যর্থ বলে তিনি মনে করেন না।

সূত্রের মতে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ দেন। বলেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কিছু কিছু এলাকায় ভারত এবং চিনের মতান্তর রয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকেই এই মতান্তর রয়েছে। ওই সব এলাকায় ভারত পরিকাঠামো তৈরি করে কী ভাবে তার কৌশলগত অবস্থান সুদৃঢ় করছে, তা-ও বিশদে জানান বিদেশমন্ত্রী। এর পরে বলা হয়েছিল, গত ৬ জুন সামরিক স্তরের আলোচনায় সেনা পিছিয়ে নেওয়ার ঐকমত্যকে কী ভাবে অগ্রাহ্য করেছে বেজিং এবং তার ফলে রক্তপাত এবং সংঘাতের সূচনা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জয় জগন্নাথ’ বলে জয়গান শাহ-মোদীরও

এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের পরে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি-র শরদ পওয়ারের মতো নেতারা সমস্বরে সেনার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন। কেউ কেউ এই অভিযোগও তোলেন যে আগে কেন তাঁদের বিস্তারিত জানানো হল না। বেশ কিছু প্রশ্নও ছিল বিরোধীদের। যেমন, কখন এবং কী ভাবে চিনা সেনা হামলা করেছিল তার খতিয়ান, মে মাসের আগের স্থিতাবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গ। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় উত্তেজনা কমানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না, সে কথাও জানতে চাওয়া হয় সরকারের কাছে। বাজপেয়ী জমানায় কার্গিল যুদ্ধের পর একটি তদন্ত কমিটি গড়েছিল সরকার। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানতে চান, এই ধরনের কোনও পরিকল্পনা মোদী সরকারের রয়েছে কি না।

আরও পড়ুন: কাল ফের সর্বদল বৈঠক, নেতাদের ফোন মমতার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement