India-China Clash

লাদাখ সঙ্ঘাতের জের, অরুণাচলে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিরোধ ভারতের। অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে চিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০৪
Share:

অরুণাচল সীমান্তে বাড়ানো হচ্ছে সেনা।—ফাইল চিত্র।

লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাত অব্যাহত। সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখেই চিনের সঙ্গে সমস্ত সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। এ বার অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন ইন্দো-চিন সীমান্তেও সেনা বাড়াতে শুরু করল ভারত। সেখানে সীমান্ত সংলগ্ন আনজ জেলায় ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে পূর্ব সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

লাদাখের পরিস্থিতির সঙ্গে সেখানে সেনা বাড়ানোর কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়েছেন আনজ-র জেলাশাসক আয়ুষী সুদান। ফোনে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সেনার সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই বেড়েছে। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত ভাবে কোনও খবর মেলেনি।’’ আয়ুষির কথায়, ‘‘শুধুমাত্র গালওয়ানের ঘটনার পর নয়, তার ঢের আগে থেকেই সেনার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছিল।’’

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিরোধ ভারতের। অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে চিন। এই অরুণাচলকে কেন্দ্র করেই ১৯৬২ সালে ইন্দো-চিন যুদ্ধে বাধে। তাই জুন মাসে গালওয়ানে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধলে, অরুণাচল নিয়েও ত্রস্ত হয়ে পড়েন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল কর্নেল হর্ষবর্ধন পান্ডে জানিয়েছেন, নিয়মিত সেনার ইউনিট পরিবর্তন হয়। এ বারও তাই হয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাঁচ দিনে তিন হাজার কোটি পিএম কেয়ার্সে, কাদের টাকা, প্রশ্ন চিদম্বরমের​

আরও পড়ুন: বাদল অধিবেশনে সরকারকে কোনও প্রশ্ন নয়! গর্জে উঠল বিরোধী শিবির​

Advertisement

তবে অরুণাচলের এক বিধায়ক তাপির গাও রয়টার্সকে জানান, আনজ, ওয়ালং এবং চাগালমের মতো এলাকায় প্রায়শই চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটে। এটা নতুন কিছু নয়।

১৯৬২-র যুদ্ধে চিনা বাহিনীকে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেইসময় ওয়ালং এবং সংলগ্ন পার্বত্য এবং সমতল ভূমিতে চিনা বাহিনীর আগ্রাসন রুখে দিতে সক্ষম হয় তারা। সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে ওই এলাকায় এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের। প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে যাতে চটজলদি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য় সরকারের তরফে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি নেই বলে জানিয়েছেন আয়ুষি সুদান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement