ছবি পিটিআই।
লাদাখে মোতায়েন অতিরিক্ত তিন ডিভিশন সেনা এখনই সরাচ্ছে না ভারত। কারণ পূর্ব লাদাখ থেকে চিন ঠিক কতখানি সরেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, পূর্ব লাদাখ থেকে চিনা সেনার পশ্চাদপসারণ কতখানি হয়েছে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ভারতীয় সেনারা তাঁদের নির্দিষ্ট এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। প্যাংগং এলাকা থেকে চিন সেনা বেশ খানিকটা সরেছে বলে খবর। কিন্তু সেটা ঠিক কতটা, তা স্পষ্ট নয়। হট স্প্রিং সংলগ্ন পেট্রোল পয়েন্ট ১৭এ-তেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি নয়। সে কারণেই অতিরিক্ত তিন ডিভিশন সেনা না সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওই সেনা সূত্রের মতে, হট স্প্রিং এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতি এখনও রয়েছে। ৭০০ মিটার দূরত্বেও ৪০-৫০ জন করে চিনা সেনাকে দেখা যাচ্ছে। ভারত-চিন কমান্ডার পর্যায়ের শেষ বৈঠকে মূলত সংঘাতস্থলগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা অপসারণ নিবিড় হবে বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু সেনা সূত্রের দাবি, বাস্তবে ততটা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘প্যাংগং-এর ধারে ভারতীয় সেনা ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত টহল দিত। এখনও তাদের ফিঙ্গার ৪-এই আটকে দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, সেনা সরানোর প্রথম দফাতেই চিন তার সেনাদের বড় অংশকে ফিঙ্গার ৪ থেকে সরিয়ে ফিঙ্গার ৫-এ নিয়ে যায়। কিন্তু কিছু সেনাকে তার পরেও শৈলশিরা বরাবর রেখে দেওয়া হয়, যাতে তারা ভারতীয় সেনার উপর নজর রাখতে পারে। ‘‘তারাই এখনও টহলদারিতে বাধা দিয়ে চলেছে। ডেপসাং-এ পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১২ আর ১৩ চিন এখনও আটকে রেখেছে।’’
এ দিকে মাঝ-অগস্ট থেকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করবে লাদাখে। ভারতের পক্ষ থেকে তাই প্রস্তুতিতে খামতি রাখা হচ্ছে না। মে মাসের সংঘাতের পরে মোতায়েন বাড়তি সেনা তো থাকছেই। ‘‘যাতে আরও সেনা আনা যায়, তার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে,’’ জানাচ্ছেন সেনা-কর্তারা। উধমপুরের নর্দার্ন কমান্ড সেই কাজে ব্যস্ত। ভারী অস্ত্রশস্ত্র আনিয়ে রাখা হচ্ছে। কাশ্মীর এবং অন্যান্য বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকেও সেনা আসছে।