— প্রতীকী ছবি।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর বকেয়া সমস্ত সমস্যা সমাধানের পথে আরও এক কদম এগোল ভারত। গত ১৩ এবং ১৪ অগস্ট লাদাখে ১৯তম সামরিক বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত কূটনৈতিক এবং সামরিক সমাধানের লক্ষ্যে হাঁটতে ঐকমত্য হয়েছে ভারতীয় সেনা এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।
পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর উত্তেজনা এখনও থিতিয়ে যায়নি। তার মধ্যেই সামরিক স্তরে উত্তেজনা নিরসনের পদক্ষেপও জারি। গত ১৩ এবং ১৪ অগস্ট ভারত এবং চিনের মধ্যে কোর কমান্ডার স্তরের ১৯ তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দু’দিনের ম্যারাথন বৈঠকে এলএসি বরাবর বকেয়া সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একযোগে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে এগোনোর কথা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে দু’দিন ব্যাপী সামরিক বৈঠক হল। ১৯তম রাউন্ডের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় চুসুল-মোলডো বর্ডার পয়েন্টে, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে। সূত্রের খবর, ইতিবাচক আবহে দুই দেশের সেনাকর্তারা আলোচনা সেরেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নেতৃত্বের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে দু’দেশের সেনাকর্তারা খোলামেলা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন।’’ এর আগে কোর কমান্ডার স্তরের সামরিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত ২৩ এপ্রিল। তবে সে বার চিনের ভূখণ্ডে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার কর্তারা।
দিল্লিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের এক মাসও বাকি নেই। বৈঠকে তাৎক্ষণিক কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন এই বৈঠকের তাৎপর্য বিপুল। প্রসঙ্গত, দু’দেশের সীমান্তে গত সাড়ে তিন বছর ধরে অচলাবস্থা চলছে। এই সামরিক অচলাবস্থার সমাধান খুঁজতে দফায় দফায় বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে। এই দফার বৈঠক শেষ হওয়ার এক দিন পর মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনা এবং পিএলএ— উভয় পক্ষই অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সামরিক এবং কূটনৈতিক সমাধান করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। অন্তত বিবৃতিতে তেমনই দাবি করা হয়েছে। যাকে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।