National News

চিনের চোখরাঙানি রুখতে নয়া কৌশল ভারতের, তৈরি হল ডোকলাম পৌঁছনোর শর্টকাট রাস্তা

বিআরও জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের যে কোনও অভিসন্ধিমূলক কাজকর্ম আটকাতে নতুন এই পিচের রাস্তা তৈরি হয়েছে। যে কোনও আবহাওয়ায় এই রাস্তায় যাতায়াত করতে পারবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:৫০
Share:

এই পিচ রাস্তাই তৈরি হয়েছে ডোকালাম পর্যন্ত। ছবি: টুইটার

বছর দুয়েক আগে ডোকলামে চিনের রাস্তা তৈরি আটকাতে কম বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। কিন্তু এ বার ভারত আক্ষরিক অর্থেই এমন রাস্তা তৈরি করছে, যাতে চিনের চোখ রাঙানি আটকানো যাবে দ্রুত। ভারতীয় সেনার ভীম বেস থেকে প্রায় সোজা পথে ডোকালা বেস পর্যন্ত তৈরি হল পাকা রাস্তা। এই রাস্তায় ভীম বেস থেকে ডোকলামে অবস্থিত ডোকালা বেসক্যাম্পে পৌঁছতে ভারতীয় সেনার সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। যা আগে লাগত প্রায় ৭ ঘণ্টা।

Advertisement

আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরি করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এই রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ২০১৫ সালে। ওই বছরই রাস্তা তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। বিআরও জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের যে কোনও অভিসন্ধিমূলক কাজকর্ম আটকাতে নতুন এই পিচের রাস্তা তৈরি হয়েছে। যে কোনও আবহাওয়ায় এই রাস্তায় যাতায়াত করা যাবে। ডোকালা বেসে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হোক, বা শত্রুপক্ষের আগ্রাসন আটকানো— সবই সামলানো যাবে খুব কম সময়ে।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় আরও একটি রাস্তা তৈরি করছে বিআরও। ৩০ কিলোমিটারের এই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে ফ্ল্যাগ হিল থেকে ডোকালা বেস পর্যন্ত। বিআরও জানিয়েছে, যে কোনও আবহাওয়ায় যাতায়াতের এই রাস্তাটির ১০ কিলোমিটার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ। বাকি ২০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ২০২০ সালের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। সমতল থেকে সর্বনিম্ন ৩৬০১ মিটার এবং সর্বোচ্চ ৪২০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি হবে এই রাস্তা। আর এই পথেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি যুক্ত হবে। যদিও সেই ঘাঁটিগুলির নাম উল্লেখ করেনি বিআরও।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ঢুকেছে ৪ জইশ জঙ্গি, সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের, উত্তর ভারতের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা

আরও পড়ুন: রাজীব কুমারকে প্রকাশ্যে দেখা গেল ২৫ দিন পর, আগাম জামিন নিশ্চিত করলেন আলিপুর আদালতে

চিন দাবি করে প্রায় ৮৯ বর্গকিলোমিটারের এই ডোকলাম পোস্ট তাদের চুম্বি ভ্যালির অংশ, অর্থাৎ তাদের ভূখণ্ডের অংশ। অন্য দিকে ভুটানের পাল্টা দাবি এবং ভারতও মনে করে ডোকলাম ভুটানেরই অখণ্ড অংশ। ২০১৭ সালে এই ডোকলামেই রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে চিন। ভারতীয় সেনা তাতে বাধা দেয়।বেজিং এবং দিল্লি দু’পক্ষই ডোকলামে সেনা মোতায়েন করে। ফলে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে পরের বছর ২৮ অগস্ট দুই দেশই ঘোষণা করে, ডোকলাম থেকে সেনা তুলে নেওয়া হয়েছে। তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement