সংসদ ভবন। — ফাইল চিত্র।
সংসদ ভবনে প্রবেশের সময়ে ডিএমকে সাংসদ এমএম আবদুল্লাকে তাঁর আসার কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক সিআইএসএফ কর্মী। গত কালের এই ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবদুল্লা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে বিদ্রুপ করে বলেছেন, ‘‘সংসদ ভবন মোদী কিংবা শাহের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, যে সাংসদের পথ আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
এর আগে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পিএসএস। চলতি বছর মে মাসে দায়িত্ব সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকেই বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। উপরাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে আবদুল্লা বলেছেন, ‘‘এমন একটা জায়গা, যেখানে আমি সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি, তামিলনাড়ুর প্রতিনিধি, সেখানে সিআইএসএফ কর্মীর এই ব্যবহারে আমি স্তম্ভিত। পিএসএস নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকার সময়ে কখনও এ রকম ঘটেনি।’’ আবদুল্লার অভিযোগপত্রের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তৃণমূল সাংসদ গোখলে। তিনি লিখেছেন, ‘‘এক জন সাংসদকে প্রশ্ন করা যায় না, কেন তিনি সংসদে এসেছেন। সংসদের সদস্য হিসেবে এটা আমাদের অধিকার। এই কারণেই কি পিএসএসকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে আনা হয়েছে? ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদদের আটকানো হবে বলে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। ৪০০ পার তো দূরে থাক, ৩০০-ও পার হয়নি। সংসদ ভবন মোদী কিংবা শাহের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।’’ কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেন, ‘‘আমাদের সংবিধানে প্রশাসন, বিচারবিভাগ ও আইনসভার ক্ষমতার সুস্পষ্ট ভাগ রয়েছে। সেখানে কোনও ভাবেই প্রশাসনের আধিপত্যের কথা নেই। এই ভাবে প্রশাসনের ক্ষমতা প্রদর্শন সংবিধানের নীতির উপরে আঘাত।’’