প্রতীকী ছবি।
অতিমারির পরে ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অনুষ্ঠিত হল অষ্টম ‘ইন্ডিয়ান ওশান ডায়ালগ’ (আইওআর)। সেখানে নাম না করে আজ চিনকে নিশানা করল ভারত। জানিয়ে দেওয়া হল, সমুদ্র সংক্রান্ত আইন এবং নৌ চলাচলের পক্ষে ভারত। সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহ বলেন, “এই অঞ্চলে ভারতের নীতি হল সংলগ্ন সমস্ত দেশের নিরাপত্তা এবং আর্থিক বৃদ্ধির প্রতি নজর রাখা। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং বৃহত্তর ভারত প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলটিকে শান্তি এবং সমৃদ্ধির অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। যেখানে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনকে মান্যতা দেওয়া হবে। আস্থা এবং স্বচ্ছতা থাকবে।” সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়ছে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশ। স্বাভাবিক ভাবেই আইওআর-এর মঞ্চকে ব্যবহার করে ভারত চিনকে বার্তা দিল, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এই একই উদ্দেশ্যে অর্থাৎ সমুদ্রপথে বেজিংয়ের মোকাবিলা করতে আমেরিকা তৈরি করেছে চর্তুদেশীয় অক্ষ তথা ‘কোয়াড’। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপানকে সদস্য করেছে ওয়াশিংটন। চিনের বিরুদ্ধে এই সমুদ্র–গোষ্ঠীতে ভারত থাকলেও তা নিয়ে ইদানীং বিশেষ সরব হতে দেখা যায়নি সাউথ ব্লককে। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, তার কারণ রাশিয়া। রাশিয়া বিষয়টিকে যে একেবারেই পছন্দ করছে না, তা খোলাখুলি বারবার নয়াদিল্লিকে জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন। তবে আজ ‘গ্লোবাল টেকনোলজি সামিট’-এ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোয়াডের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই চর্তুদেশীয় গোষ্ঠী খুবই জীবন্ত একটি বিষয় এবং অত্যন্ত কার্যকরী।’’ কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ৬ ডিসেম্বর ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফর সফল ভাবেই শেষ হয়েছে। ২০৩১ সাল পর্যন্ত দু’দেশের সামরিক প্রযুক্তি সহযোগিতার ব্যাপারে চুক্তিও হয়েছে। পাশাপাশি আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা সমঝোতা এগিয়েছে। ফলে এখন রাশিয়া প্রশ্নে কিছুটা চাপমুক্ত ভারত ফের কোয়াডে মন দিতে চাইছে। আজ জয়শঙ্করের এই বার্তা সেই সঙ্কেতই দিচ্ছে।