চলছে টিকাকরণ। ছবি পিটিআই।
মাত্র ২৬ দিনের মধ্যে ভারতে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষকে কোভিড-প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে বলে আজ দাবি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ওই সংখ্যক লোককে টিকা দিতে আমেরিকা ২৭ দিন ও ব্রিটেন ৪৮ দিন সময় নিয়েছে বলে জানাল মন্ত্রক। এ দিকে, কানাডায় প্রতিষেধক সরবরাহের বিষয়ে কথা বলতে গত কাল রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মোদী নিজেই এক টুইট জানিয়েছেন সে কথা। সম্প্রতি সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-টিকার ১০ লক্ষ ডোজ় চেয়েছে কানাডা। মোদী লিখেছেন, ‘‘বন্ধু ট্রুডোর থেকে ফোন পেয়ে খুব খুশি। কানাডায় প্রতিষেধক সরবরাহের বিষয়ে ওঁকে আশ্বস্ত করেছি।’’
এ দিকে, কেরল থেকে আসা যাত্রীদের রাজ্যে প্রবেশের বিষয়ে কড়াকড়ি করল মহারাষ্ট্র সরকার। এক নির্দেশিকায় সরকার জানিয়েছে, কেরল থেকে এলে কোভিড-নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর আগে গুজরাত, দিল্লি, গোয়া ও রাজস্থানের ক্ষেত্রে একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, যাঁরা বিমানে সফর করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে বিমানে ওঠার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। যাদের রিপোর্ট থাকবে না তাঁদের বিমানবন্দরেই পরীক্ষা করাতে হবে। একই নিয়ম বলা হয়েছে রেলযাত্রীদের ক্ষেত্রেও। সে ক্ষেত্রে ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করাতে হবে তাঁদের।
তবে কড়াকড়ি সত্ত্বেও লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় মুম্বইয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মহানগরীতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালু হয়েছে রেল পরিষেবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, পারস্পরিক দূরত্বের পরোয়া না করেই লাইন দিয়েছেন যাত্রীরা। সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ওম শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‘সংক্রমণ বাড়ার পিছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে লোকাল ট্রেন চালু অবশ্যই একটি কারণ।’’ এ দিকে, কোভ্যাক্সিন নিয়ে ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে প্রশ্ন রেখেছিলেন, আজ তার জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যগুলিকে যে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে, তা নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম।