(বাঁ দিক থেকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমআইএম-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার । —ফাইল চিত্র।
দলের একাংশ এবং ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের আর্জি উপেক্ষা করেই পুণের মঞ্চে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে খোঁচা দিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘শরদ দ্বিচারিতার রাজনীতি করছেন।’’
মঙ্গলবার স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩তম প্রয়াণবার্ষিকীতে পুণায় তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হল মোদীকে। সম্মাননা জানালেন প্রধান অতিথি শরদ। চলতি মাসেই মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে বসতে চলেছে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক শিবসেনা (উদ্ধব) এবং কংগ্রেসের পাশাপাশি, রয়েছে শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি-ও। কিন্তু ওই বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ আগে পুণেয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঞ্চে শরদের উপস্থিতি বিরোধী জোটের অস্বস্তি বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুণেয় ‘লোকমান্য তিলক সম্পর্ক মন্দির ট্রাস্ট’-এর ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শরদের ভাইপো তথা এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা অজিত পওয়ারও। গত মাসেই কাকার সঙ্গে ছেড়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনার জোট সরকারে শামিল হয়েছেন তিনি। শুধু শিবসেনা (উদ্ধব) বা কংগ্রেসের মতো সহযোগী দল নয়, শরদপন্থী এনসিপি নেতৃত্বের একাংশও তাঁকে পুণায় না-যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
সম্প্রতি শরদপন্থী রাজ্যসভা সাংসদ বন্দনা চহ্বান বলেন, ‘‘যিনি আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পওয়ারজিকে অনুরোধ করেছি না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে মোদীকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পওয়ার দল ভাঙার আগের ঘটনা।’’ মোদীর মহারাষ্ট্র সফরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পুণেয় বিক্ষোভ দেখান ‘মহা বিকাশ অগাড়ি’ জোটের নেতা-কর্মীরা। কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব)-এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন এনসিপির শরদপন্থী নেতারাও।