—প্রতীকী ছবি।
মধ্যপ্রদেশের এক শিক্ষিকাকে সাত কোটি টাকার আয়কর নোটিস পাঠাল আয়কর দফতর। মধ্যপ্রদেশের ওই শিক্ষিকা ২০১৩ সালে মারা গিয়েছেন। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১০টা বছর। এই সময় আয়কর দফতরের সাত কোটির নোটিস পেয়ে হতবাক তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই শিক্ষিকার নাম উষা সোনি। ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি মারা যান। অথচ আয়কর দফতরের তরফে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর ফাঁকির জন্য উষার নামে সাত কোটি টাকার নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে তাঁর পুত্র পবন সোনি জানিয়েছেন।
নোটিস হাতে পাওয়ার পরেই স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন পবন। তাঁর অভিযোগ, কেউ বা কারা উষার প্যান কার্ড অপব্যবহার করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় কমপক্ষে ৪৪ জনের কাছে ১ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা কর ফাঁকির নোটিস পাঠানো হয়েছে। নিতিন জৈন নামে এক লোহা বিক্রেতাকে পাঠানো হয়েছে ১.২৬ কোটি টাকার নোটিস। নিতিনের অভিযোগ, তাঁর প্যান কার্ড ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করা হয়েছে। আর সেই জন্যই তাঁর নামে কর ফাঁকির নোটিস পাঠানো হয়েছে। বেতুলের এসপি সিদ্ধার্থ চৌধরি জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে প্যান কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতির কারণে এই সব ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এসপি।