ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।
অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি ছোড়া এবং উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা বরাবরই করে আসছে পাকিস্তান। তার প্রমাণ আগেও বহুবার পেয়েছে ভারতীয় সেনা। ফের তেমনই একটি ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এল ভারতীয় সেনার, যাতে ধরা পড়েছে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টার আরও এক জীবন্ত ছবি। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনার গোলার মুখে পড়ে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তানের অপচেষ্টা। একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি ভারতীয় সেনার।
ঘটনা গত ১২-১৩ সেপ্টেম্বরের। ওই দিন পাক বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট) এবং জঙ্গিরা মিলে নিয়ন্ত্রণরেখার হাজিপুর সেক্টরে তৎপরতা বাড়ায়। কয়েক জন জঙ্গি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা জওয়ানরা তাদের গতিবিধি বুঝতে পেরে গ্রেনেড লঞ্চার ছুড়তে শুরু করে। তার জেরে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি ভারতীয় সেনার।
থার্মাল ভিডিয়ো ফুটেজে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। হামাগুড়ি দিয়ে ক্রমেই এগিয়ে আসছে কালো ছায়ামূর্তিরা। কিছুক্ষণ পরেই ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার থেকে গ্রেনেড চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনা। সেনার দাবি, একাধিক জঙ্গি বা ব্যাট সদস্যের মৃত্যু হতে পারে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার। পাকিস্তানের তরফে অবশ্য ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।
সুযোগ পেলেই উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার দাবি, ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক সেনা। প্রায় সব সেক্টরে নতুন করে জঙ্গিদের লঞ্চ প্যাডগুলি সক্রিয় করেছে। গুরেজ, মাছাল, কেরণ, উরি, তাংধর, উরি, পুঞ্চ, নওসেরা, সুন্দরবনি, আর এস পুরা, রামগড়, কাঠুয়া-সহ প্রায় সব সেক্টরেই এই লঞ্চ প্যাডগুলি সক্রিয় করেছে ইসলামাবাদ। সেনার একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই সব লঞ্চ প্যাডগুলিতে অন্তত ২৫০ জঙ্গিকে মোতায়েন করা হয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা ভারতে ঢোকার প্রতীক্ষায়।
আরও পডু়ন: ভারতে নিষিদ্ধ ই সিগারেট, ঘোষণা নির্মলা সীতারামনের
আরও পড়ুন: রাজীবকে নিজেদের কব্জায় পেতে বিশেষ অভিযানের প্রস্তুতিতে সিবিআই, দিল্লি থেকে এল নতুন দল
সেনার এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, বিভিন্ন সূত্রে তাঁরা খবর পেয়েছেন, পাক পঞ্জাব প্রদেশ থেকে জঙ্গি দলে নিয়োগ শুরু হয়েছে। লক্সর-ই-তৈবা, জইশ ই মহম্মদ, দওরা-ই-আম সহ বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্বে চলছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।