বিপ্লব দেব।
বিনামূল্যে ত্রিপুরার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার দিন শেষ। রাজ্যের বিজেপি সরকারের ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে ছাড় পেলেন না দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষও। ছাড় শুধু অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনাভুক্তদের।
গত কাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে নতুন পরিষেবা হার ঘোষণা করা হয়েছে। দারিদ্রসীমার উপরে থাকা (এপিএল) অথচ ‘প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড’ (পিএইচএইচ) গোষ্ঠীভুক্ত পরিবারভুক্ত মানুষকেও (বার্ষিক আয়ের পরিমাণ গ্রামে ১ লক্ষ ২০ হাজার ও শহরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা) নগদ টাকা দিয়েই সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা কিনতে হবে। তালিকায় বিপিএল-ভুক্তদের কোনও শ্রেণিবিন্যাস করা হয়নি। ফলে তারাও পিএইচএইচ তালিকায় ঢুকে যাচ্ছে।
আউটডোরে দেখাতে গেলে পিএইচএইচ ও এপিএল শ্রেণির মানুষকে যথাক্রমে ১০ ও ২০ টাকা দিয়ে কার্ড করাতে হবে। এক মাস পর্যন্ত তা ব্যবহার করা যাবে। বাড়ছে কেবিন, খাবারের খরচও। প্রয়োজনীয় ওষুধের বিষয়ে বলা হয়েছে হাসপাতালের কাছে থাকলে বিনামূল্যেই দেওয়া হবে। অক্সিজেন লাগলে এপিএলকে ঘণ্টায় ৫০ ও পিএইচএইচ গোষ্ঠীভুক্তদের ঘণ্টায় দিতে হবে ২৫ টাকা। কেন এই সিদ্ধান্ত, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নীরব। তবে এক সূত্রের বক্তব্য, সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর উৎস খুঁজছে। এবং তা করতে গিয়েই স্বাস্থ্য পরিষেবা মহার্ঘ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থ তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সিপিএমের বাদল চৌধুরী বলেন, ‘‘গরিব ও মধ্যবিত্ত এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।’’