প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সব ছাত্রছাত্রীর কাছে পৌঁছনোর জন্য বিলম্ব করতে চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, গত এক মাস ঝড়ের গতিতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্থির হয়েছে, প্রথম দফায় দেশের ৪০ লাখ ছাত্রছাত্রীকে চিঠি লিখবেন মোদী। তার জন্য বয়ান-সহ চিঠি ও খাম প্রস্তুতের বরাত ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর জন্য খরচ হিসাবে ধার্য করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। যদিও মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে খরচ প্রথম দফায় ৪০ কোটি পর্যন্ত যেতে পারে বলে তৈরি থাকা হচ্ছে।
শীর্ষ রাজনৈতিক সূত্রের খবর এই পত্র যোজনা সফল ভাবে রূপায়িত হওয়ার পরে দ্বিতীয় দফায় কলেজ পড়ুয়াদেরও চিঠি লেখার কথা ভাবা হবে। এ কাজে বিজেপি নেতৃত্বেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। বিজেপি নেতৃত্বও স্বাভাবিক ভাবেই চাইছেন, চলতি বছরে বিধানসভা ভোটগুলির আগেই যাতে এই পত্র প্রেরণ সম্ভব হয়।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক ৪০ লাখ চিঠির বয়ান থাকবে একই। নীতিবোধ, দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধকে জাগরিত করার কথা বলা হবে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে এই চিঠির মাধ্যমে সরাসরি সংযোগের সেতু গড়ে উঠবে প্রধানমন্ত্রীর। তবে চিঠিতে কোনও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নয়, ভারতের সনাতন সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের কথাই বলা থাকতে পারে বলে সূত্রের বক্তব্য। এই গোটা পরিকল্পনায় আরএসএস তথা সঙ্ঘ পরিবারের অনুমোদন রয়েছে।
এর আগে অল্পবয়সিদের সঙ্গে সংযোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী চালু করেছিলেন ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। সেখানে পরীক্ষায় বসার আগে ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ, উপদেশ দিতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। পরীক্ষার আগে কী ভাবে মনের জোর ধরে রাখতে হয়, মনঃসংযোগ অভ্যাস করতে হয় তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। ওই চর্চায় যারা উপস্থিত থাকে, তারা বাদে বাকিদের জন্যও অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয় সরকারি প্রচার মাধ্যমে। দেশের প্রায় ২০ লাখ ছাত্রছাত্রীর নাম ঠিকানা নথিভুক্ত করা হয়েছে এখানে। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিজেপির যে নেতারা এই নাম নথিভুক্তিকরণে যুক্ত ছিলেন, তাঁদেরও এই চিঠি-যোজনায় কাজে লাগানো হবে। ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র জন্য দেশজোড়া ছাত্রছাত্রীদের যে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে তাকে ব্যবহার করা হবে।