আপাতত শিবসেনার ‘মালিক’ থাকছেন শিন্ডেই। ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই দেশের নির্বাচন কমিশন শিবসেনা নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল দলের বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর শিবিরকে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি। যার অর্থ আপাতত শিবসেনা নাম এবং প্রতীক ব্যবহার করে যেতে পারবে শিন্ডে শিবির। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তের কথা শোনায়নি শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়েছে যে, শিবসেনা বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর কমিশনের তরফে উদ্ধব শিবিরকে যে অস্থায়ী প্রতীক দেওয়া হয়েছিল, সেই ‘জ্বলন্ত মশাল’ প্রতীক আপাতত ব্যবহার করতে পারবে তারা। ব্যবহার করতে পারবে দলের অস্থায়ী নামটিও।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছিলেন উদ্ধবরা, তা শুনতে রাজি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নিয়ন্ত্রণাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। উদ্ধবরা আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতেই পাল্টা ক্যাভিয়েট দাখিল করে শিন্ডে শিবিরও। বুধবার উদ্ধবের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে ‘নিরাপত্তা’র দাবিতে সওয়াল করেন। তিনি জানান, অবিভক্ত সেনার সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দখল যাতে শিন্ডে শিবির পেতে না পারে, সে বিষয়টি আদালতের তরফে নিশ্চিত করা হোক। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা দিতে চায়নি শীর্ষ আদালত। উদ্ধব শিবিরের তরফে এ-ও জানানো হয় যে, মঙ্গলবার সংসদ ভবনে শিবসেনার অফিসটিও শিন্ডে শিবিরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে জানিয়েছে, কমিশনের সিদ্ধান্তের বাইরেও শিন্ডে শিবির কোনও পদক্ষেপ করে থাকলে, আইনানুগ পদক্ষেপ করতে পারবে উদ্ধব শিবির।
সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য গৃহীত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে শিন্ডে শিবির। উদ্ধব শিবির বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্টে না গিয়ে কেন শীর্ষ আদালতে এসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আসল শিবসেনার কৌঁসুলি। শিবসেনার নাম এবং তিরধনুক প্রতীক কারা ব্যবহার করতে পারবে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই টানাটানি চলছিল শিবসেনার দুই অংশের মধ্যে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেবের পুত্র উদ্ধব এবং বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথের মধ্যে লড়াই চলছিল। সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। গত ১৭ জানুয়ারি সেই সিদ্ধান্তই ঘোষণা করে কমিশন। জানায় শিবসেনার প্রতীক এবং নাম ব্যবহার করতে পারবে ‘বিদ্রোহী’ শিন্ডে শিবিরই।