মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
তেলঙ্গানায় চিকিৎককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ যখন উত্তাল, ঠিক সেই সময়ই একের পর এক নৃশংসতার খবর সামনে আসছে। এ বার রাজস্থানের টঙ্ক জেলায় ৬ বছরের এক স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। ধর্ষণের পর স্কুল ইউনিফর্মের বেল্ট গলায় জড়িয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খেতরি গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশু শনিবার স্কুলের স্পোর্টস ডে-তে অংশ নিতে গিয়েছিল। কিন্তু স্কুলের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়-পরিজনদের কাছে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। একই সঙ্গে নিজেদের মতো করে তল্লাশিও শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু রাতভর তল্লাশি চালিয়েও মেয়ের খোঁজ মেলেনি।
রবিবার সকালে নতুন করে তল্লাশি শুরু হলে, খেতরি গ্রামের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ঝোপের মধ্যে থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। ঝোপের মধ্যে তখনও রক্তের দাগ লেগেছিল। দেহের পাশ থেকে মদের বোতল এবং স্ন্যাক্সের প্যাকেটও উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। পৌঁছয় ফরেনসিক দলও। সেখানে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ।
আরও পড়ুন: চিৎকার বন্ধ করতে চিকিৎসকের মুখে ঢালা হয়েছিল মদ! তেলঙ্গানায় ধর্ষণকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য
আরও পড়ুন: গণধর্ষণ এ বার কোয়ম্বত্তূরে, পার্কে বন্ধুকে বেঁধে রেখে সামনেই অত্যাচার, অভিযুক্ত ৬
কোনওরকমে মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রথমে ধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। তার পর তারই পরনের স্কুল ইউনিফর্মের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে। টঙ্কের পুলিশ সুপার আদর্শ সিধু বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছি আমরা। তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।’’ তবে তদন্তকারী অফিসারদের প্রাথমিক অনুমান, স্ন্যাক্সের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।