অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
ইটভাটার কর্মী ১৪ বছরের এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে। গত শুক্রবারের ঘটনা। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ইটাভাটার মালিক-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি।
ইংরেজি দৈনিক ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর খবর অনুযায়ী, যে ইটভাটায় কাজ করত, তার পাশেই একটি কুঠুরি থেকে ওই দলিত কিশোরীর পোড়া দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী যে ইটভাটায় কাজ করত, তার পাশেই ছোট একটি ঘরে থাকত তাদের পরিবার। কিশোরী ও তার মা, বাবা, ভাই কাজ করত সেই ইটভাটায়। গত সপ্তাহে কিশোরীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তার বাবা ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে নিজেদের গ্রামের পথে রওনা হয়ে যান। অসুস্থ মায়ের দেখাশোনার জন্য রেখে যান কিশোরীকে। ইটাভাটার মালিকের সন্দেহ হয়, হয়তো এর পর কিশোরী আর তার মা-ও ফিরে যাবেন গ্রামে। গত শুক্রবার কিশোরীর বাবা খবর পান, তাঁর মেয়ের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে ইটভাটার পাশে। এর পর ইটভাটা মালিক-সহ ৭ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি/ উপজাতির উপর হিংসা দমন আইনের ধারায় খুন ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ‘‘ইটভাটারই দুই কর্মী আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ এখন এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে এড়াতে চাইছে। কিন্তু ইটভাটার পাশে যে কুঠুরি থেকে আমার মেয়ের পোড়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ছিল না। তাই সেই সব থেকে আগুন লাগতে পারে না। দলিত বলেই ওরা আমার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে।’’
আরও পড়ুন- বিজেপি করার ‘অপরাধ’! আছাড় দেওয়া হল সাত বছরের শিশুকে
আরও পড়ুন- শিবসেনাকে শিক্ষা দিতে জোট বেঁধেছেন দলিতেরা
দলিতদের অধিকার রক্ষার জন্য যারা লড়াই করে, সেই ভিম সেনারও অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে ভিম সেনা এলাকায় বন্ধ ডাকার হুমকি দিয়েছে।