—প্রতীকী ছবি।
মুম্বইয়ে গণধর্ষণের শিকার বিমানসেবিকা। সহকর্মী এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওই মহিলার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি বিমান পরিবহণ সংস্থায় কর্মরত। অভিযুক্ত স্বপ্নিল বদোদিয়া তাঁর বন্ধু। সেও একটি বিমান সংস্থার কর্মী। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ হায়দরাবাদ থেকে মুম্বই ফেরেন ওই তরুণী। রাতের দিকে স্বপ্নিলের সঙ্গে নৈশভোজে যান তিনি। সেখানে মদ্যপানও করেন দু’জনে।
অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে বাড়ি ফিরতে দেয়নি স্বপ্নিল। তার বদলে ভুলিয়ে ভালিয়ে অন্ধেরি ইস্টের গনি এলাকার যে ফ্ল্যাটে সে পেয়িং গেস্ট থাকত, সেখানে নিয়ে যায়। আরও তিন জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ওই ফ্ল্যাটে থাকত স্বপ্নিল। ঘটনার রাতে তারা সকলে তো বটেই, তার পরিচিত অন্য আর এক তরুণীও সেখানে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চুরির গয়না বন্ধক দিয়ে খরচ চলত ‘চেন খুনি’র
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন নির্যাতিতা। পর দিন সকালে ঘুম ভাঙলে শরীরে অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন তিনি। চোখের নীচে, হাতে এবং কাঁধে আঘাতের চিহ্ন নজরে পড়ে তাঁর। তড়িঘড়ি ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যোগেশ্বরীর ম্যাকডোনাল্ড জয়েন্টে গিয়ে বসেন তিনি। সেখান থেকে এক বন্ধু তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। সব কিছু জানতে পেরে নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই খবর দেন মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্মোরেশন (এমআইডিসি) থানায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত বিজেপি কর্মী-সহ দুই
স্বপ্নিল ও তার বন্ধুরা মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করেছে বলে নিজের বয়ানে জানান নির্যাতিতা। তার পরই বুধবার সকালে অভিযুক্ত স্বপ্নিলকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্বপ্নিলের বিরুদ্ধে ৩৭৬-ডি ধারায় (এক বা একাধিক ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষণ) মামলা দায়ের হয়েছে। জেরায় ইতিমধ্যেই অপরাধ কবুল করেছে সে। তবে গণধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে একাই নির্যাতিতার উপর অত্যাচার চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)