লালু প্রাসাদ যাদবের মেয়ে মিসা ভারতী। ছবি- সংগৃহীত।
আর্থিক তছরুপের মামলায় লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে মিসা ভারতী ও তাঁর স্বামী শৈলেশ কুমারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। একই দিনে আইনের বড় ‘গেরো’য় ফেঁসে গেলেন বাবা ও মেয়ে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারির মামলায় আজ ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের।
ইডি’র কৌঁসুলি নীতেশ রাণা শনিবার বিশেষ বিচারপতি এন কে মলহোত্রের আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেন।
তদন্তে নেমে গত জুলাইয়ে দক্ষিণ দিল্লির বিজওয়াসানে মিসা ও তাঁর স্বামীর একটি ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ফার্ম হাউসটি ছিল ‘মিসাইল প্যাকার্স অ্যান্ড প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নামে।
তদন্তকারী সংস্থাটির অভিযোগ, তছরুপ করা অর্থেই ওই ফার্ম হাউসটি কেনা হয়েছিল। খাতায়-কলমে ফার্ম হাউসটির দাম ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন- ফের কি জেলে যাবেন লালু: ইঙ্গিত মিলবে তিনটের পর
আরও পড়ুন- নমিনি নেই, ব্যাঙ্কে দাবিহীন ১৪ হাজার কোটি টাকা!
আর্থিক তছরুপের অভিযোগ থাকায় দিল্লিতে আরও দু’জনের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তিগুলিতেও ওই সময় হানা দিয়েছিলেন ইডি’র অফিসাররা। তাঁদের নাম সুরেন্দ্র ও বীরেন্দ্র কুমার জৈন। তাঁরা দুই ভাই। শেল কোম্পানির মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পরে দুই ভাইকেই গ্রেফতার করে ইডি।
ইডি’র বাজেয়াপ্ত করা মিসা, শৈলেশের দক্ষিণ দিল্লির ফার্ম হাউসটি খাতায়-কলমে যে সংস্থার নামে রয়েছে, তাতে বিনিয়োগ ছিল দুই জৈন ভাইয়ের। মিসা ও শৈলেশ, দু’জনেই এক সময় সংস্থাটির ডিরেক্টর ছিলেন।
তাই বিনিয়োগের পয়লা দফার পরিমাণ নিয়ে মিসা, শৈলেশের সঙ্গে রফা করার অভিযোগে ইডি পরে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজেশ অগ্রবালকেও গ্রেফতার করে।