জয়পুরের শিক্ষিকা মুসকান জৈনের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। —ফাইল চিত্র।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছিলেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বধূর। কিন্তু তার চার দিনের মাথায় অন্য ভিডিয়ো ‘আবিষ্কার’ করলেন মহিলার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিয়ো নিয়ে চলে গেলেন থানায়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মেয়ের স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আদৌ দুর্ঘটনায় তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়নি। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না-পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
রাজস্থানের জয়পুরের ঘটনা। সেখানেই একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মুসকান জৈন। গত ১৬ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, সিঁড়ি থেকে অসাবধানতায় পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মহিলার ফোন বন্ধ ছিল। তা খোলার চেষ্টা করছিলেন তাঁর বাবা। এক সাইবার বিশেষজ্ঞের সাহায্যে ঘটনার চার দিন পর ওই ফোন খোলা হয়। ফোনে বেশ কিছু ভিডিয়ো খুঁজে পান মহিলার বাবা।
একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, কাঁদতে কাঁদতে মহিলা বলছেন, ‘‘আমি কখনও ভাবিনি, আমার স্বামী আমার সঙ্গে এই ব্যবহার করবে। শ্বশুর-শাশুড়ি গত কয়েক দিন ধরে আমার উপর অনেক অত্যাচার করছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আর আমার বেঁচে থাকার প্রয়োজন নেই।’’
ভিডিয়োটি হাতে পাওয়ার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন মৃতার বাবা। তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়াংশ নামের যুবকের সঙ্গে ছোট থেকেই বন্ধুত্ব ছিল মুসকানের। পরে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই মুসকানের উপর অত্যাচার করা হত। সেই থেকে দুই পরিবারের সম্পর্কেরও অবনতি হয়েছিল। মৃতের ফোনটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।