বিসারায় মৃতের বাড়ির কাছে পুলিশ পাহারা। ছবি: রয়টার্স।
উত্তর প্রদেশের বিসারায় গণপ্রহারে খুনের ঘটনায় আরও স্পষ্ট হল বিজেপি যোগ। ১০ অভিযুক্তের ৭ জনই স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় রানার ঘনিষ্ঠ বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। মূল অভিযুক্ত বিশাল রানা সঞ্জয় রানারই পুত্র। বিজেপি’র দাবি, নিরীহদের ফাঁসাচ্ছে অখিলেশ যাদবের সরকার। ধৃতদের আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি।
গোমাংস খাওয়ার গুজব রটিয়ে বিসারা গ্রামে আকলাখ নামে এক প্রৌঢ়কে গত সোমবার রাতে গণপ্রহারে খুন করা হয়। বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু, অভিযুক্তদের হয়ে আইনি লড়াই শুরুর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। মুজফ্ফরনগরে ২০১৩ সালের হিংসাত্মক ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম রবিবার বিসারায় গিয়ে অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকের জামিনের ব্যবস্থা করার আশ্বাসও তিনি দেন।
অভিযুক্তদের তালিকা দেখে কিন্তু হতচকিত বিভিন্ন শিবির। সবারই বয়স ২৫-এর কম। কেউ স্নাতকের পড়ুয়া, কেউ স্কুল শেষ করে সবে চাকরিতে ঢুকেছে, কেউ চাকরি খুঁজছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় রানার ২০ বছরের পুত্র বিশাল রানা দ্বাদশ শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। দিল্লিতে এক আত্মীয়ের বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করছিল সে। সোমবার রাতে বিসারায় সভা ডেকে আকলাখের বাড়িতে হামলার প্ররোচনা বিশালই দিয়েছিল বলে অভিযোগ। আরও দুই ধৃত বিবেক কুমার ও সচিন কুমারের বয়স যথাক্রমে ২২ ও ২০। বাবা ওম কুমারকে ব্যবসায় সাহায্য করে তারা। সঞ্জয় রানার সঙ্গে তাদেরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বলে অভিযোগ। স্থানীয় ঠিকাদার ধীরজ সিংহের দুই তরুণ পুত্র গৌরব ও সৌরভও অভিযুক্তের তালিকায় অন্যতম। প্রথম জন স্নাতক স্তরের পাঠ শেষ করে সবে আইন পড়া শুরু করেছে। দ্বিতীয় জন চাকরি খুঁজছে। চাষির ছেলে শিবম মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও গণপ্রহারে সক্রিয় ভাবে অংশ নেয় বলে অভিযোগ। বাকি অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ সবে স্কুল শেষ করেছে। কেউ বেসরকারি সংস্থায় সবে কাজ শুরু করেছে। সাম্প্রদায়িক হিংসায় এদের জড়িয়ে পড়ার পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে একাংশের মত।