আয়কর হানায় বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। —প্রতীকী চিত্র।
নোটবন্দির পরেও রাশ টানা যায়নি কালো টাকার রমরমায়। এ বার অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় তা হাতেনাতে প্রমাণিত হল। গত সপ্তাহে সেখানকার একাধিক পরিকাঠামো সংস্থায় হানা দিয়ে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি হিসাব বহির্ভূত আয়ের হদিশ পেয়েছে আয়কর দফতর। নগদেই ৮৫ লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে। গয়না উদ্ধার হয়েছে ৭১ লক্ষ টাকার। সব মিলিয়ে ওই সমস্ত সংস্থার ২৫টিরও বেশি ব্যাঙ্ক লকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াড়া, কুডাপ্পা, বিশাখাপত্তনম, দিল্লি এবং পুণে-তে ৪০টিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তাতে সাব কন্ট্র্যাক্টরদের মাধ্যমে ভুয়ো বিল দেখিয়ে টাকা তোলার একটি চক্রের হদিশ মিলেছে। সেই সংক্রান্ত ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এবং বহু নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সচিব এবং সহযোগীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার নামে বিল তৈরি করে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট সংস্থা, যেগুলির বার্ষিক লেনদেন ২ কোটি টাকারও কম, আয়কর ফাঁকি দিতে সেই সংস্থাগুলিকে সামনে রেখেই এই চক্র চালানো হচ্ছিল। যে ছোট সংস্থাগুলিকে ঢাল করে এই চক্র চলছিল, তার মধ্যে বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমর কেন বন্দি? কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: নির্ভয়া-কাণ্ড: সুপ্রিম কোর্টে বিনয়ের আর্জি খারিজ, সে একেবারে সুস্থ, জানিয়ে দিল আদালত