মহম্মদ মনসুর খান। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার আই মনিটারি অ্যাডভাইসরি (আইএমএ) সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ মনসুর খান। চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত তিনি। দুবাই থেকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দু’টো নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এই মুহূর্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
মোটা অঙ্কের সুদের লোভ দেখিয়ে নিজের সংস্থার অধীনে পঞ্জি স্কিম চালু করেন মহম্মদ মনসুর খান। তাতে বিনিয়োগ করেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু পাওনা না পাওয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লে, ২০১৮ সাল থেকে আইএমএ-র উপর নজর পড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য সংস্থার। তার মধ্যেই, এ বছর জুন মাসে মনসুর আচমকা বিদেশে পাড়ি দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বিনিয়োগকারীরা। কয়েক হাজার অভিযোগ জমা পড়ে থানায়।
সেই সময় একটি অডিয়ো রেকর্ডিংও সামনে আসে, দেশ ছাড়ার আগে যা রেখে গিয়েছিলেন মনসুর। তাতে বিভিন্ন আধিকারিককে ৪০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রোশন বেগও এই ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেন। সেই থেকে রোশন বেগকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: মেয়র পদ ছাড়লেন সব্যসাচী, বিধাননগরের নতুন মেয়র বাছতে ‘সময়’ নেবে তৃণমূল
তার মধ্যেই সম্প্রতি মনসুর খানের নাগাল পায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। যার পর, ইন্টারপোলকে চাপ দিতে শুরু করে ইডি, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা যায়। চাপের মুখে পড়েই ফিরে আশার সিদ্ধান্ত নেন মনসুর। যেমন করেই হোক ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় রাত কাটালেন বিজেপি বিধায়করা, আস্থাভোট নিয়ে চূড়ান্ত নাটক কর্নাটকে
এর আগে, সোমবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন মনসুর। তাতে ভুল করে ফেলেছেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফিরতে চান বলে জানিয়েছিলেন। ওই ভিডিয়োতে মনসুর বলেন, ‘‘ভারতের বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। দেশে ছেড়ে পালিয়ে আসাটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে উপায় ছিল না। আমার পরিবার এখন কোথায় তাও জানি না।’’ মনসুরের সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে ইডি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।