ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র হাত ধরতে পারে শিবসেনা, এই জল্পনা চলছিলই। সেই জল্পনাকে আরও উস্কে দিলেন এনসিপি-রই মুখপাত্র নবাব মালিক। শনিবার তিনি বলেন, “জনগণের স্বার্থে শিবসেনা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, বিকল্প রাস্তা খোলা আছে। এবং এনসিপি সে ক্ষেত্রে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নিতে পারে।” পাশাপাশি তিনি এই বার্তাও দিয়ে রাখেন, উদ্যোগটা কিন্তু শিবসেনার তরফ থেকেই আসতে হবে।
এর পরই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মালিক। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যদি কোনও সমাধানসূত্র না বেরোয়, তা হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে— শুক্রবার এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুনগন্টীওয়ার। এ প্রসঙ্গে মালিকের পাল্টা হুঁশিয়ারি, রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই তাঁদের দল রাজ্যকে সঠিক দিশা দেখাবে। তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শ্বাসরুদ্ধ হতে দেব না। রাজ্যকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে প্রস্তুত। কিন্তু শিবসেনা এবং অন্য দলগুলোকে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে হবে।” যদিও শিবসেনার তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শিবসেনা বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় যাবে, না কি শেষমেশ জল্পনাকে সত্যি করে এনসিপি-র হাত ধরবে এখন সে দিকে তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।
অন্য দিকে, আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের বহর যেন বেড়েই চলেছে শিবসেনা-বিজেপির মধ্যে। ওয়ালিম বারেলভির কবিতার একটি লাইনকে উদ্ধৃত করে ফের বিজেপিকে নিশানা করেছেন সেনার সঞ্জয় রাউত। বলেছেন, “নীতির উপর যখন আঘাত আসবে, তখন প্রত্যাঘাত করাটা জরুরি। শুধু বেঁচে থাকা নয়, সেই বেঁচে থাকাটাও কখনও কখনও দেখানো প্রয়োজন।” ৫০-৫০ ফর্মুলা না মানলে তাঁরা যে কোনও আপসের রাস্তায় যাবেন না, এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সঙ্গে এই হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, বিজেপিকে ছাড়াই তারা সরকার গঠন করতে পারে। বিজেপির ঔদ্ধত্য নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। বিজেপিকে আক্রমণ করতে একটি উপমা ব্যবহার করে টুইটে রাউত লেখেন, কালের সমুদ্রে অনেক রথী-মহারথীকে তলিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পরেও ধোঁয়াশা কাটল না দিল্লিতে, বাতাস এখনও ‘মারাত্মক’
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে খুন ভিলেজ পুলিশ, গ্রেফতার তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী-সহ ২
শিবসেনার একের পর এক আক্রমণের পাল্টা জবাব দিচ্ছে বিজেপিও। মৌখিক যুদ্ধ তো চলছেই দু’দলের মধ্যে। সেই যুদ্ধের সেই পরিসরটা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। পরস্পরকে আক্রমণ করতে দু’দলই বেছে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সমাধান সূত্র বেরনোর আশা তো দূরঅস্ত্ , বরং সময় যত গড়াচ্ছে শিবসেনা-বিজেপির ক্রম দ্বৈরথে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। আরও এই রাজনৈতিক ডামাডোলকে এনসিপি মূলধন করতে চাইছে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।