Bengaluru Murder Case

‘মহালক্ষ্মীকে না মারলে আমিই খুন হয়ে যেতাম’! বেঙ্গালুরুতে তরুণী হত্যায় অভিযুক্তের চিঠি উদ্ধার

গত মাসেই বেঙ্গালুরুতে লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুক্তিরঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খুনের পর লিভ ইন সঙ্গীর দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪০
Share:

বেঙ্গালুরুতে নিহত মহিলা মহালক্ষ্মী। ফাইল চিত্র।

লিভ ইন সঙ্গী মহালক্ষ্মীকে না খুন করলে তিনিই খুন হয়ে যেতেন। আত্মহত্যার আগে এমনই দাবি করে একটি চিঠি লিখে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে এসেছে সেই চিঠি। উদ্ধার হওয়া সেই চিঠি অভিযুক্তের কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

গত মাসেই বেঙ্গালুরুতে লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ ওঠে মুক্তিরঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। খুনের পর লিভ ইন সঙ্গীর দেহ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫০টির বেশি টুকরো করা হয়েছিল মহালক্ষ্মীর দেহ। সপ্তাহখানেক পরে স্থানীয়েরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তার পরই মুক্তিরঞ্জনের ঘর থেকে তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর টুকরো করা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মুক্তিরঞ্জনের খোঁজ পায় পুলিশ। কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে আত্মহত্যা করেন অভিযুক্ত। ওড়িশার ভদ্রক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মুক্তিরঞ্জনের দেহের পাশের একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে তাঁদের সম্পর্কের টানাপড়েন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লেখা ছিল। তার মধ্যে একটি ছিল, মহালক্ষ্মীকে যদি তিনি না খুন করতেন, তা হলে তিনিই খুন হয়ে যেতেন। শুধু তা-ই নয়, ওই চিঠিতে মহালক্ষ্মীকে খুনের কথাও মুক্তিরঞ্জন স্বীকার করেছেন বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তবে চিঠির লেখাটি আদৌ মুক্তিরঞ্জনের কি না, তা-ও নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ।

Advertisement

কী ভাবে মহালক্ষ্মীকে খুন করেছেন চিঠিতে সেই বর্ণনাও দিয়েছেন মুক্তি। ওই চিঠি অনুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বরের গভীর রাতে মহালক্ষ্মীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন মুক্তি। তার পর পর দিন দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র কিনে আনেন। সেই অস্ত্র দিয়ে দেহ টুকরো করেন। তার পর সেই টুকরোগুলি ফ্রিজে রেখে দেন। ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘মহালক্ষ্মী আমাকে খুন করতে চেয়েছিল। একটা কালো সুটকেস এনে রেখেছিল। আমাকে মেরে দেহ ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আত্মরক্ষার্থেই মহালক্ষ্মীকে খুন করতে হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement