অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
গ্রেফতার হলে জেলে বসে সরকার চালাবেন? না কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এখনও গ্রেফতার হননি। তার আগেই কেজরীওয়ালকে বিজেপি গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ তুলে জনমত সংগ্রহ অভিযানে নেমে পড়ল আম আদমি পার্টি। এই অভিযানের মাধ্যমে তারা কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারই শুরু করে দিল।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতির মামলায় আগেই সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিসৌদিয়া ও সঞ্জয় সিংহকে গ্রেফতার করেছে ইডি। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধে আজ ইডি ৬০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দায়ের করেছে। দিল্লির রাজনৈতিক শিবিরে গুজব চলছে, যে কোনও সময় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা হতে পারে। বিশেষত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ধরাশায়ী হলে কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও অনেকে দাবি করছেন।
এই নিয়েই ডিসেম্বরের পয়লা তারিখ থেকে আম আদমি পার্টি জনমত সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের সই করা মতামত নিয়ে তাঁরা জানতে চাইছেন, সিবিআই বা ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করলে তিনি কি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন, না কি জেল থেকেই সরকার চালাবেন! ‘ম্যায় ভি কেজরীওয়াল’ নামের এই প্রচার অভিযানে আম আদমি পার্টির লক্ষ্য, ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লির ২,৬০০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে যাওয়া। তার পরে বড়দিনের আগে পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে জনসভা করা। শেষে মানুষের মতামত কেজরীওয়ালের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দিল্লির বিজেপির মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, এই সব গুজব-নির্ভর প্রচার চালিয়ে আম আদমি পার্টি মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। আপ নেতা ও দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের বক্তব্য, কোনও দুর্নীতি হয়নি। মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য হল কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করা। দিল্লির সরকারের জনমুখী কাজকর্ম বন্ধ করা। আপ নেতাদের দাবি, কেজরীওয়াল গ্রেফতার হলেও মানুষ তাঁকে জেল থেকেই সরকার চালানোর পক্ষে রায় দিচ্ছেন। কারণ কেজরীওয়াল সরকার তাঁদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ-এর মতো পরিষেবায় বেনজির কাজ করেছেন।