—ফাইল চিত্র।
এসি কামরায় বাতানুকূল যন্ত্র তো দূর, একটি পাখাও চলেনি। দু’টো আলো জ্বালানো ছাড়া কোনও সুরাহা করতে পারেননি রেলের ইলেকট্রিশিয়ানরা। দমবন্ধ গরমে ছটফট করতে করতে সোমবার পুরী থেকে হাওড়া এসেছেন ধৌলি এক্সপ্রেসের সি-২ কামরার যাত্রীরা। এই হয়রানিতে টিকিটের দাম ফেরত চান তাঁরা। অথচ রেলের দাবি, ভাড়ার টাকা ফেরত নিতে হলে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকের থেকে শংসাপত্র আনতে হবে যাত্রীদের!
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেছেন, ‘‘বাতানুকূল যন্ত্র খারাপ হয়েছে বলে টিকিট পরীক্ষকের কাছ থেকে শংসাপত্র নিয়ে টাকা ফেরত চাইলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শুনে হতভম্ব যাত্রীরা বলছেন, ওই ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক বা টিটিই-দের তাঁরা এখন কোথায় খুঁজবেন? এমন তো নয়, তাঁরা যাত্রীদের কাছে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে গিয়েছেন! বাতানুকূল যন্ত্র যে চলেনি, রেলের মেরামতি বিভাগের কর্মীরাই একাধিক স্টেশনে তা দেখে গিয়েছেন। টিকিট পরীক্ষকেরাও দেখেছেন। এর পাশাপাশি, যাত্রীরা ট্রেনের নিজস্ব অভিযোগ জানানোর খাতায় (কমপ্লেন বুক) অভিযোগ জানিয়েছিলেন। রেল কর্তৃপক্ষেরই তো নিজে এগিয়ে এসে আসন সংরক্ষণের তালিকা দেখে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। উত্তরে রেল কর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদেরই টাকা ফেরত চাইতে হবে— এটাই নাকি রেলের নিয়ম। সে ক্ষেত্রে যাত্রীদের পাল্টা প্রশ্ন, তাঁদের টিকিট এবং সচিত্র পরিচয়পত্রই কি যথেষ্ট প্রমাণ নয়?
যাত্রীরা জানান, পুরী থেকে ছাড়ার সময়েই ট্রেনটির সি-২ কামরায় বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আলো, পাখা, এসি— চলছিল না কিছুই। যাত্রীরা শুরুতেই পুরী স্টেশনের কর্মীদের বিষয়টি জানান। কিন্তু তাঁরা কোনও গুরুত্বই দেননি বলে অভিযোগ। ওই অবস্থাতেই দুপুরে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। ওই কামরার এক যাত্রী জানান, ট্রেন ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভ্যাপসা গরমে কামরার ভিতরে দমবন্ধ অবস্থা তৈরি হয়। কিছু পরে ট্রেন পৌঁছয় ভুবনেশ্বরে। সেখানে রেলের কোনও কর্মীরই দেখা মেলেনি।