Delhi Highcourt

Delhi High Court: সম্মতিসূচক যৌনতায় পরিচয়পত্র অনাবশ্যক: কোর্ট

বিচারপতি সিংহের মতে, ২০১৯ সাল থেকে সম্পর্ক ছিল দু’জনের মধ্যে। সেই সময়েই শারীরিক সম্পর্ক হয়। তা হলে কেন এত দেরিতে অভিযোগ জানানো হল?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ০৮:৪৩
Share:

দিল্লি হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

পারস্পরিক সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র দেখে জন্মতারিখ যাচাই করার বিষয়টি একেবারেই অনাবশ্যক, অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক, সম্প্রতি ধর্ষণের একটি মামলায় এই রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট। গত বুধবার এই রায় দিয়ে অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে বিচারপতি জসমিত সিংহের বেঞ্চ।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর এককালের প্রেমিকা। দাবি করেছিলেন, তিনি নাবালিকা জেনেও তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগের পরেই গ্রেফতার করা হয় সেই ব্যক্তিকে। পরে দেখা যায়, ওই মেয়েটির আধার, ভোটার ও প্যান এই তিনটি পরিচয়পত্রেই তিনটি আলাদা জন্মতারিখ। আদালত এই রায় দিয়েছে যে, আধার কার্ডে মেয়েটির জন্মসাল ১৯৯৮। সুতরাং সেই অনুসারে যে সময় শারীরিক সম্পর্ক ঘটেছে সেই সময় মেয়েটিকে নাবালিকা বলা চলে না। পাশাপাশি, অভিযুক্তের তরফ থেকে মেয়েটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অঙ্কের টাকা কেন পাঠানো হত, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

বিচারপতি সিংহের মতে, ২০১৯ সাল থেকে সম্পর্ক ছিল দু’জনের মধ্যে। সেই সময়েই শারীরিক সম্পর্ক হয়। তা হলে কেন এত দেরিতে অভিযোগ জানানো হল? যৌনচক্রের ইঙ্গিত দিয়ে বিচারপতি সিংহ বলেছেন, এই মামলায় যতটা বোঝা যাচ্ছে, বিষয়টি তার চেয়েও গভীর। এ-ও বলেছেন, খতিয়ে দেখতে এই ধরনের অভিযোগ অন্য কারোর বিরুদ্ধেও অভিযোগকারিনী করেছেন কি না।

Advertisement

তবে, জামিন দিলেও অভিযুক্তকে আপাতত অন্য কোথাও যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এই মামলা নিয়ে কোনও আলোচনাতেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement