ফেসবুকে এমন বহু ছবি শেয়ার করেছেন ‘রামভক্ত গোপাল’। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জামিয়ার ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ‘ইয়ে লো আজাদি’ বলতে বলতে গুলি চালাচ্ছেন তিনি। হামলার কয়েক মিনিট আগে পিস্তল উচিয়ে লাইভও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন ‘বদলা’ নেওয়ার কথা। পোস্টে লিখেছিলেন, ‘শাহীন ভাগ খেল খতম।’ একের পর এক ভিডিয়ো সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে এই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর প্রদেশের গৌতমবুদ্ধ নগরের বাসিন্দা এই কিশোর। তাঁর বয়েস ১৭। ফেসবুকে একটি প্রোফাইল ছিল তার। সেখান থেকেই বারবার হামলার বিষয়ে নানা পোস্ট করা হয়েছিল। বিরোধিতা করা হয়েছিল শাহিন বাগ আন্দোলনের।
বৃহস্পতিবার মহাত্মা গাঁধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজঘাটের দিকে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করে যাচ্ছিলেন জামিয়ার পড়ুয়ারা। সেই সময়ই ওই মিছিল লক্ষ্য করে পিস্তল তাক করে। এই ঘটনার পরে ছাত্ররা ধরে ফেলেন ওই কিশোরকে। গ্রেফতার করা হয় তাকে। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে স্পষ্ট, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা করেছেন এই হামলার। বারবার হুমকি দিয়ে পোস্ট করেছেন। কোনও পোস্টে লেখা, ‘শাহিন ভাগ খেল খতম,’ কোথাও লেখা, ‘এই আমার শেষযাত্রা’। ‘আমি এখানে একা হিন্দু’, এমনও পোস্ট দিয়েছেন এই ব্যক্তি। পিস্তল উঁচিয়ে লাইভ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, জনৈক চন্দন নামক ব্যক্তির হত্যার বদলায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেসবুক থেকে অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করা হয়।
আরও পড়ুন:‘ইয়ে লো আজাদি’, জামিয়ার বাইরে সিএএ বিরোধী মিছিলে গুলি যুবকের
আরও পড়ুন:মোদী এবং গডসে একই আদর্শে বিশ্বাস করেন, প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ রাহুলের
এ দিন এই কিশোরের চালানো গুলিতে আহত হন শাদাব ফারুক নামের এক ছাত্র। গুলি লাগে তাঁর বাঁ হাতে। কাশ্মীরি এই যুবককে প্রথমে ‘হোলি ফ্যামিলি’ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।