প্রতীকী ছবি।
অনেক জটিলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট। আগের বছরের তুলনায় দুই পরীক্ষাতেই পাশের হার এ বছর বেড়েছে বলে জানিয়েছে বোর্ড। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের হার যথাক্রমে ৯৯.৩৩ শতাংশ ও ৯৬.৮৪ শতাংশ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে অনেক দেরিতে ফল প্রকাশিত হলেও ধৈর্য ধরার জন্য পরীক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বোর্ড।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে এ বছর পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি। যে পরীক্ষাগুলি হয়েছিল, সেই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই অন্য বিষয়গুলির নম্বর দিয়েছে বোর্ড। পরীক্ষা সম্পূর্ণ না হওয়ায় বোর্ডের পক্ষ থেকে মেধাতালিকাও ঘোষণা করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, আইসিএসই-তে যুগ্ম ভাবে প্রথম হয়েছে মুম্বইয়ের যমনাবাঈ স্কুলের জুহি রূপেশ কাজারিয়া ও মুক্তাসরের লিটল ফ্লাওয়ার কনভেন্ট স্কুলের মনহর বনশল। দু’জনেই ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অন্য দিকে আইএসসি-তে ৪০০-র মধ্যে ৪০০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান পেয়েছে দু’জন। তারা হল দেবাং কুমার আগরওয়াল ও বিভা স্বামীনাথন। ৩৯৯ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আরেক পরীক্ষার্থী। তবে তার নাম এখনও জানা যায়নি।
ফল প্রকাশ করে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর দশম শ্রেণিতে পাশের হার ছিল ৯৮.৫৪ শতাংশ। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩৩ শতাশ। দ্বাদশ শ্রেণিতে পাশের হার গত বারের ৯৬.৫২ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৯৬.৮৪ শতাংশ। এ বছর দশম শ্রেণিতে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লক্ষ সাত হাজার ৯০২ জন। তাদের মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছ ১৩৭৭ জন। দ্বাদশ শ্রেণিতে ৮৮ হাজার ৪০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৯৮ জন পাশ করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- ‘ঠোক দিয়ে জায়েঙ্গে’! যোগীর এই মন্ত্রেই কি ‘এনকাউন্টারে’ নিহত শতাধিক?
ফল প্রকাশের পর আইসিএসই-র চেয়ারপার্সন গেরি অ্যারাথুন বলেছেন, ‘‘এই সঙ্কটের সময়ে পরীক্ষার্থীরা নজিরবিহীন ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলির জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা, রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা এবং সমান্তরাল ভাবে পরবর্তী ক্লাস বা এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তাদের। তাদের অপেক্ষা ও ধৈর্য প্রসংশনীয়।
আরও পড়ুন: এনকাউন্টার উত্তরপ্রদেশ: যে প্রশ্ন এবং সন্দেহগুলো উঠছে