আইসিএমআর-সিদ্ধান্তে প্রশ্নও
ICMR

দ্রুত পরীক্ষা, সায় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনে

আরটি-পিসিআরের পাশাপাশি এখন ট্রু-ন্যাট এবং সিবি-ন্যাটের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ২-৫ ঘণ্টা সময় লাগছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২০ ০৪:৪০
Share:

ছবি পিটিআই।

কম সময়ে বেশি করোনা-পরীক্ষার জন্য র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের ব্যবহার অনুমোদন করল আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ)। সোমবার এ বিষয়ে অ্যাডভাইজ়রি জারি করল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মতোই ভাইরাসের মধ্যে যে অ্যান্টিজেন থাকে তা চিহ্নিত করার কাজ করবে এই কিট। আইসিএমআর অ্যাডভাইজ়রিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থার তৈরি কিট ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে ফল জানিয়ে দেবে। যদিও বঙ্গের করোনা-আবহাওয়ায় সেই কিট কতখানি উপযোগী হবে সে বিষয়ে সন্দিহান চিকিৎসকদের একাংশ।

Advertisement

আরটি-পিসিআরের পাশাপাশি এখন ট্রু-ন্যাট এবং সিবি-ন্যাটের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে ২-৫ ঘণ্টা সময় লাগছে। ফলে ল্যাবগুলিতে ক্রমাগত নমুনার চাপ বাড়ছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে সমস্যা হচ্ছে।

র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের সঙ্গে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ হিসেবে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজনদের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে আরটি-পিসিআরে আবার পরীক্ষা করতে হবে। আর সেখানেই কিটের উপযোগিতা সম্পর্কে সন্দিহান চিকিৎসকদের একাংশ। একটি বেসরকারি পরীক্ষাগারের ল্যাব ডিরেক্টর অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গড়ে ৭০ শতাংশকে চিহ্নিত করলেও যে ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে এই কিট ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে না, তাঁদের কী হবে? উপসর্গহীন রোগীদের কি এই পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা যাবে? তাঁরাই তো সংখ্যায় বেশি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কালকের করোনা-বৈঠকে বলার ডাক পেল না বাংলা

এসএসকেএম মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান তথা ভাইরাস রিসার্চ ডায়গনিস্টিক ল্যাবরেটরি প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর রাজা রায় বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে এখন মোট নমুনা পরীক্ষার নিরিখে কেস পজ়িটিভিটির হার তিন শতাংশের সামান্য বেশি। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের জন্য এই কিট উপযোগী হলেও, আমাদের রাজ্যে, যেখানে নেগেটিভ কেসের সংখ্যাই বেশি, সেখানে তা ততটা উপযোগী হবে বলে মনে হচ্ছে না।’’ তবে কোভিড ম্যানেজমেন্টে স্বাস্থ্য দফতর নিযুক্ত এক প্রবীণ চিকিৎসকের মতে, ‘‘আগামিদিনে সংক্রমণের হার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরটি-পিসিআর ল্যাব গড়ার খরচ অনেক। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের কথা মাথায় রেখে কম খরচে এই কিটের ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।’’

আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার বাড়ছে: মুকুল রায়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement