এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। প্রতীকী চিত্র।
রাস্তা দিয়ে একের পর এক গাড়ি হুশ হুশ করে ছুটে যাচ্ছে। রাস্তার ঠিক পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে এক তরুণী। কেউ ফিরেও তাকাচ্ছিলেন না সে দিকে। যাঁদের নজরে পড়েছিল, তাঁরা না দেখার ভান করেই যাচ্ছিলেন। দিল্লির সরাই কালে খান এলাকায় গণধর্ষিত এক তরুণীকে কী ভাবে উদ্ধার করা হল, তারই কাহিনি শোনালেন বায়ুসেনা অফিসার উইং কমান্ডার কবিরাজ চৌহান।
১১ অক্টোবরের রাত। পুরাতন দিল্লি রেলস্টেশনে বাবাকে আনতে যাচ্ছিলেন কবিরাজ। কিন্তু তিনি জানতে পারেন ট্রেন বেশ কিছুটা দেরিতে চলছে। ফলে স্টেশনে ঢুকতে সময় লাগবে ধরে নিয়েই বাবাকে ফোন করেন তিনি। বায়ুসেনা অফিসার জানান, ফোন পেয়ে তাঁর বাবা বলেন, ট্রেন গাজ়িয়াবাদ স্টেশনে রয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমকে বায়ুসেনা অফিসার বলেন, ‘‘যখন আমি বাবাকে ফোন করলাম, তিনি বললেন গাজ়িয়াবাদ স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ কথা শোনার পর বাবাকে বললাম, তুমি গাজ়িয়াবাদেই নেমে পড়ো, আমি আসছি। এ কথা বলেই গাড়ি গাজ়িয়াবাদের দিকে ঘোরালাম।’’
বায়ুসেনা অফিসার জানান, গাড়ি নিয়ে কিছুটা এগোতেই আবার ফোন করেন বাবা। জানান, ট্রেন গাজ়িয়াবাদ স্টেশন ছেড়ে দিয়েছে। তিনি যেন পুরাতন দিল্লি স্টেশন থেকেই তাঁকে তুলে নেন। ফলে আবার গাড়ির মুখ ঘোরাতে হল পুরাতন দিল্লি স্টেশনের দিকে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য সরাই কালের রাস্তা ধরেন বায়ুসেনা অফিসার। কিছুটা এগোতেই দেখেন রাস্তার ধারে এক তরুণী পড়ে রয়েছেন। গায়ের পোশাক ছেঁড়া। রক্তে ভেজা। এই দৃশ্য দেখে তিনি শিউরে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন পথদুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তরুণী। ভুল ভাঙল একটু পরেই।
বায়ুসেনা অফিসার বলেন, ‘‘রাস্তা দিয়ে একের পর এক গাড়ি, অটো, বাইক যাচ্ছিল। তরুণীকে ওই অবস্থাতে দেখেও কেউ এগিয়ে আসেননি। আমি গাড়ি থামাই। তরুণীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কাছে যেতেই বুঝতে পারি ঘটনা অন্য কিছু। তরুণী কথা বলতে পারছিলেন না। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানাই।’’ কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আসে। তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বায়ুসেনা অফিসার জানান, পরে শুনেছি তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভিখারি, অটোচালক এবং আর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।