রাজৌরিতে হত প্যারাট্রুপার সচিন লৌর। ছবি: সংগৃহীত।
এখনও দুই জঙ্গি বেঁচে রয়েছে। তাদের খতম করেই তার পর বাড়ি ফিরবেন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন বাবাকে ফোন করেছিলেন প্যারাট্রুপার সচিন লৌর। কিন্তু তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরই বাড়িতে ফোন আসে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের এই সেনা জওয়ান।
সচিনের বাবা রমেশচন্দ্র জানিয়েছেন, বুধবারেও বাড়িতে ফোন করেছিল তাঁদের পুত্র। ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরার কথাও জানিয়েছিল। সেই কথা প্রসঙ্গেই সচিন তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, “আর দুই জঙ্গিকে খতম করা বাকি। ওদের খতম করেই বাড়ি ফিরব।” ওটাই ছিল সচিনের শেষ কথা। তার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওটাই যে সচিনের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা হবে, পরিবারের কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
রমেশচন্দ্র আরও জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই সেনায় কাজ করার ইচ্ছা ছিল সচিনের। তাঁর কথায়, “সেনায় সুযোগ পাওয়ার জন্য খুব কসরত করত আমার ছেলেটা। শুধু বলত, জঙ্গিদের আমরা দেখে নেব। এটাও বলত যে, যত জঙ্গিকে খতম করব, আমার প্রোমোশন তত ভাল হবে।” রাজৌরিতে সংঘর্ষ চলাকালীন তাই সচিন বলেছিল, “এই দুই জঙ্গিকে খতম করতে দাও। ওদের মেরেই তার পর বাড়ি ফিরব।”
লৌর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সচিন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। ২০১৯ সালে সেনায় যোগ দিয়েছিলেন। বিয়ের তোড়জোড়ও চলছিল বাড়িতে। ৮ ডিসেম্বরে বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল সচিনের। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। সচিনের দাদা মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করেন। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। গত বুধবার রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ শুরু হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে দুই সেনা আধিকারিক-সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেনার গুলিতে নিহত হয়েছে লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার কারি-সহ দুই জঙ্গির।