মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
শারীরিক ভাবে যত দিন সক্ষম থাকবেন, তত দিন তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকবেন। শুধু তাই নয়, আগামী ২০-২২ বছর দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনিই। ওই সময়ের মধ্যে কেউ যেন দলের সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন না দেখেন। রবিবার লখনউয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সভায় এমনই বার্তা দিলেন বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী।
এ দিন দলের সংবিধানেও বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা বলেন বিএসপি নেত্রী। তিনি বলেন, “এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে কংগ্রেসের মতোই বিএসপি একটি পরিবারতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়েছে।” কিন্তু বিএসপি যে সে পথে হাঁটবে না এ দিন সেই বার্তাও দেন। এবং সেই কাজটা শুরু করলেন সহ-সভাপতির পদ থেকে ভাইকে সরিয়ে দিয়েই।
গত বছরে দলের সাংবিধানিক রদবদলের সময় সহ-সভাপতির পদটি তুলে দিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের হাতে। এ প্রসঙ্গে বলেন, “দলের স্বার্থের কথা ভেবে এক জন সাধারণ কর্মী হিসাবেই থাকতে চেয়েছিলেন ভাই। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে তাঁকে ওই পদটি দেওয়া হয়।” এ দিন দলের প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরাম রাণার প্রসঙ্গও তুলে আনেন মায়া। কাঁসিরামও তাঁর কোনও আত্মীয়কে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা দেননি। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে আত্মীয়রা যারপরনাই অখুশিই হয়েছিলেন। কাঁসিরামের প্রসঙ্গ তুলে তিনি পরোক্ষে এই বার্তাই দিলেন, আত্মীয়রা অখুশি হলেও তিনি নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকবেন।
আরও পড়ুন: আলিঙ্গন করে সাসপেন্ড ছাত্রের নম্বরে চোখ ছানাবড়া শিক্ষকদেরই
আরও পড়ুন: নিজের কর্তব্যটুকুই তো করেছি, বলছেন গগনদীপ
এ দিন দলের বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন মায়াবতী। জানান, আগামী সমস্ত নির্বাচনে তাঁর দল লড়বে। জোট নিয়ে অন্য দলগুলোর ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জোট নিয়ে কথাবার্তা চলছে উত্তরপ্রদেশেও। শুধু তাই নয়, অন্য রাজ্যগুলিতেও এ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে দল। আগামী নির্বাচনগুলিতে আসন সমঝোতা নিয়ে যদি দল সন্তুষ্ট না হয়, তা হলে সে ক্ষেত্রে ‘একলা চলো’ নীতি নেবে দল। তাই যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেই দলের নেতা-কর্মীদের এ দিন স্পষ্ট বার্তা দেন বিএসপি নেত্রী।