National News

‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি’, বলার পরই ফোনটা কেটে গেল

গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৩৮
Share:

গুলি করার পর বিচারকের ছেলেকে এভাবে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল দেহরক্ষী মহীপাল।

ফোনটা বেজে উঠতেই রিসিভ করেছিলেন গুরুগ্রামে অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক কৃষ্ণকান্ত শর্মা। ফোনের ও পার থেকে শুধু কয়েকটা কথা ভেসে এল…‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি’। তার পরই ফোনটা কেটে গেল। ফোনটা করেছিলেন বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ।

Advertisement

গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহীপাল তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তার পর ছেলের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাঁদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন।যদিও ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকেগুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

গুলি করার পর কী করলেন মহীপাল দেখুন সেই ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ‘এমন ঘটনা হয়েছিল কি হয়নি?’, অমিতের কথায় #মিটু আগুনে ঘি

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করার পর মা এবং আরও পরিচিত কয়েক জনকে ফোন করে বিষয়টি জানান মহীপাল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মহীপাল। কেন গুলি করলেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহীপাল। বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। তাঁর স্ত্রী শিক্ষিকা। গ্রামবাসীরা জানান, মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছেন মহীপাল। বাবা মদ্যপ হওয়ার কারণে তাঁর জন্মের আগেই মা বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় মহীপালের। ছোটবেলা থেকেই খুব রাগী স্বভাবের তিনি। ২০০৭-এ হরিয়ানা পুলিশে যোগ দেন মহীপাল। কিন্তু গ্রামের ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন: মহিলারা শবরীমালায় প্রবেশ করলে গণ-আত্মহত্যা, হুমকি কেরল শিবসেনার

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement