রামচন্দ্র বারজেনা ও তাঁর স্ত্রী রুপালি। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী দায়ী। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওড়িশার এক যুবক। শনিবার খুর্দার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রামচন্দ্র বারজেনা। তিনি কুম্ভরবস্তার বাসিন্দা। মৃত্যুর আগে তিনি একটি ভিডিয়ো করেন। ভিডিয়োবার্তায় স্ত্রী রুপালিকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন রামচন্দ্র। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে রামচন্দ্রের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, যে ভিডিয়োটি তাদের হাতে এসেছে, সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার নাম রামচন্দ্র বারজেনা। কুম্ভরবস্তায় থাকি। আমি আত্মহত্যা করতে চলেছি। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে স্ত্রী।’’ তার পরই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন রামচন্দ্র। নিজিগড়-তাপাংয়ের কাছে রেললাইন থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
পুলিশ সূত্রে খবর, রামচন্দ্র এবং রুপালির এক কন্যাসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রী মানসিক ভাবে নির্যাতন করছিলেন। নিত্য দিন অশান্তি লেগে থাকত দম্পতির মধ্যে। পরিবারের অভিযোগ, অশান্তির জেরেই মানসিক অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন রামচন্দ্র। পুত্রের মৃত্যুর পর পুত্রবধূ রুপালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রামচন্দ্রের পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রুপালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাচক্রে, শনিবারই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়িকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আত্মঘাতী হন যুবক।
প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষ স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন অতুল। মৃত্যুর আগে তিনি ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেই সঙ্গে রেকর্ড করেছিলেন দেড় ঘণ্টার ভিডিয়োবার্তা। স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তিন কোটি টাকা চেয়ে তাঁর উপর চাপ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অতুলের আত্মহত্যা এবং ‘সুইসাইড নোট’ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির জেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল।