Bhopal Man Suicide

‘আমাকে শেষ করে দিল ওরা’! ভিডিয়োবার্তায় স্ত্রী, শ্বশুরকে দায়ী করে আত্মঘাতী যুবক, ভোপালে অতুলকাণ্ডের ছায়া

ভোপালের অশোক গার্ডেন এলাকায় থাকতেন অভিষেক। শনিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ভিডিয়োবার্তায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩৩
Share:
স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী ছবি।

স্ত্রী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী ছবি।

বেঙ্গালুরু, উত্তরপ্রদেশের পর এ বার মধ্যপ্রদেশ। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। মৃতের নাম অভিষেক বচলে (২৫)। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে তিনি স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তার পর নিজের পরিবার এবং বাবার উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে ওরা। আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছি। বাবা, আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি চিরকালের জন্য তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’’

Advertisement

তাঁর এই পরিণতির জন্য স্ত্রী কাজল, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং কাজলের ভাইবোনকে দায়ী করে গিয়েছেন অভিষেক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভোপালের অশোক গার্ডেন এলাকায় থাকতেন অভিষেক। শনিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ভিডিয়োবার্তায় শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবক। মাস কয়েক আগেই প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই অশান্তি শুরু করেন অভিষেকের স্ত্রী কাজল।

শুধু তা-ই নয়, অভিষেকের আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন কাজল। তাঁদের অভিযোগ, শুধু কাজলই নন, তাঁদের বাপের বাড়ির লোকজনও অভিষেকের উপর নানা রকম ভাবে মানসিক চাপ দিচ্ছিলেন। স্ত্রীকে নিয়ে আলাদাই থাকতেন অভিষেক। ফলে তাঁর উপর যে ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন হচ্ছিল, সে কথা নিজের বাড়ির কাউকেই বলতে পারছিলেন না। অভিষেকের মা-বাবাও পুত্রবধূ কাজল এবং তাঁর বাপের বাড়ির বিরুদ্ধে অভিষেককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছিল বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের সঙ্গেও। স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সুভাষ। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন অতুল। মৃত্যুর আগে তিনি ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেই সঙ্গে রেকর্ড করেছিলেন দেড় ঘণ্টার ভিডিয়োবার্তা। স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তিন কোটি টাকা চেয়ে তাঁর উপর চাপ তৈরি করার অভিযোগ তুলেছিলেন। অতুলের আত্মহত্যা এবং ‘সুইসাইড নোট’ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির জেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement