সবিতা কোবিন্দ
রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে তাঁর স্বামীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সে খবর জানতেই পারেননি রামনাথ কোবিন্দের ৪৩ বছরের সহধর্মিণী সবিতা। শেষ পর্যন্ত বিহার রাজভবনের এক কর্মীই টেলিভিশনে খবর শুনে সবিতা কোবিন্দকে সংবাদটি দেন।
সে দিন সবিতা দিল্লিতে। রাইসিনা হিলস থেকে ঢিল ছোড়া দূরে ১৪৪ নম্বর নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে। খুশির খবরটি পেয়েই ফোনে রামনাথের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণী। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পারেননি। নিজেই জানালেন সবিতা।
আসলে নাম ঘোষণার পরেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন রামনাথ কোবিন্দ। নরেন্দ্র মোদীর ফোন, দিল্লি আর বিহার থেকে অগুণতি ফোন। নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক। তার পর দিল্লিতে নামতেই বিমানবন্দর থেকেই দলের নেতারা তাঁকে রীতিমতো ‘হাইজ্যাক’ করে নেন। সোজা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। তার পর অমিত শাহের বাড়ি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ যখন ফাঁকা হন, তখন নর্থ অ্যাভিনিউয়ের এই বাড়িতে চলে আসেন রামনাথ। আর তখনই স্বামীর জীবনের এত বড় খুশির ঘটনা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান সবিতা। কিন্তু পরের দিন থেকেই চাণক্যপুরীতে ‘বিহার নিবাস’-এ চলে গিয়েছেন রামনাথ।
আরও পড়ুন: কারনানের দাপটে তটস্থ পুলিশ
১৪৪ নর্থ অ্যাভিনিউ। রাষ্ট্রপতি ভবনের উত্তরের পাঁচিল ধরে হেঁটে গেলে বড়জোর মিনিট পাঁচেক। এখন সেখানেই রয়েছেন দেশের সম্ভাব্য ‘প্রথম মহিলা নাগরিক’। তাঁর স্বামী রামনাথ কোবিন্দ নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী। শরিক এমনকী বিরোধী শিবির থেকে যে ভাবে তাঁর পক্ষে সমর্থন আসছে, তাতে স্পষ্ট, রামনাথই হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। আর সবিতা কোবিন্দ ‘ফার্স্ট লেডি’।
দিল্লির সবিতার সঙ্গে কানপুরের রামনাথের বিয়ে হয় ১৯৭৪ সালে। সদ্য ৩০ মে বিবাহবার্ষিকী গিয়েছে। সেই সময়েই শিমলায় রাষ্ট্রপতির গ্রীষ্মনিবাসে প্রবেশের অনুমতি পাননি। আর এক মাসের মাথায় সেই রাষ্ট্রপতি ভবনই তাঁদের আগামী পাঁচ বছরের ঠিকানা হতে চলেছে!
বদলে গিয়েছে নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটের ছবিটাও। দিন তিনেক আগেও এখানে অনায়াসে যাওয়া যেত। এখন পুলিশ ছাউনি। মেটাল ডিটেক্টর, হাজারো প্রশ্ন পেরিয়ে যেতে হচ্ছে বাড়ির কাছে। তবে এই আচমকা পরিবর্তনে নিজেকে পাল্টে ফেলতে চান না সবিতা। তিনি ভালোবাসেন রান্না করতে। রাষ্ট্রপতি ভবনে অবশ্য রাঁধুনি রয়েছে। তবু রান্না করে স্বামীকে খাওয়াতে চান সেখানেও।