অমিত শাহ, অরুণ মিশ্র ও অমিত শাহ
ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ওই কমিটির অন্তত দু’জন বিজেপির সঙ্গে জড়িত। আজ সেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ মিশ্র প্রকাশ্য সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘আপনার জন্যই জম্মু-কাশ্মীরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।’’
কমিশনের ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আজ নিজের বক্তৃতায় কোন ‘নতুন অধ্যায়ের’ কথা বললেন বিচারপতি মিশ্র? স্পষ্টতই তাঁর ইঙ্গিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার এবং জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে পৃথক দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দিকে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের মস্তিষ্ক অমিত শাহই ছিলেন। বিচারপতি মিশ্রের মতে, শাহের চেষ্টায় শুধু যে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে তা-ই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেও ‘নতুন যুগ’ শুরু হয়েছে। বাস্তব যদিও বলছে, কাশ্মীরে গত কালও পাঁচ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে। জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে কাশ্মীর ছাড়ছেন সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখেরা।
কমিশনের এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দাবি করেন যে, ঘটনাবিশেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন কিছু মানুষ। মোদী বলেন, ‘‘কেউ কেউ কিছু ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেন, কিন্তু অন্যান্য ঘটনায় দেখেন না। রাজনীতির চশমা পরে থাকলেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। কেউ কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে দেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করতে চায়। রাজনৈতিক স্বার্থের চোখ দিয়ে মানবাধিকারকে দেখা হলে তা মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র, দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর।’’
গোরক্ষকদের তাণ্ডব থেকে শুরু করে ভিন্ন ধর্মে বিয়েতে আপত্তি তোলা, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল থেকে কৃষক আন্দোলন— বিভিন্ন সময়েই ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকার তথা গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ দিন মোদী কারও নাম না করলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, অতীতে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠনই বিজেপির রোষের মুখে পড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিচারপতি মিশ্র আজ বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক শক্তির অঙ্গুলিহেলনে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলাটা একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বধর্ম সমন্বয়ের