আতশবাজি পুড়ল দিল্লির আকাশে। শনিবার। পিটিআই
নিষেধাজ্ঞা মানেনি রাজধানীর কিছু মানুষ। অনেক এলাকাতেই বাজি পুড়েছে প্রচুর। তার বিষ-ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা রাজধানী এলাকার মানুষকেই। বায়ুমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা সংক্ষেপে একিউআই) বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছিল যথাক্রমে ৩১৪ ও ৩৩৯। সেটাই শনিবার পৌঁছেছে ৪১৪-তে। যা কি না ‘মারাত্মক (সিভিয়ার)’ দূষণের শ্রেণিতে পড়ে।
গত বছর দেওয়ালি পড়েছিল ২৭ অক্টোবর। সে দিন একিউআই ছিল ৩৩৭। এবং পরের দু’দিন তা হয় যথাক্রমে ৩৬৮ ও ৪০০। ফলে আগামী দু্’দিনও বাজি পুড়লে দিল্লির বিপদ যে আরও বাড়বে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
শুধু বাজি নয়, পুরনো সমস্যা ফসলের গোড়া পোড়ানো। ‘পিএম২.৫’ অর্থাৎ যে সব কণার আকার ২.৫ মাইক্রনের কম বাতাসে তা বাড়লে দৃশ্যমানতা কমে যায়, শ্বাসের সঙ্গে ফুসফসে ঢুকে এগুলি, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে, ক্যানসার-সহ নানা রোগ বাধায়। দিল্লির বাতাসে এই কণা বেড়ে যাওয়ার জন্য ৩২% দায়ী লাগোয়া রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর চল। বাতাসে ‘পিএম২.৫’-এর উপস্থিতি ৬০-এর বেশি হলেই সেটাকে অস্বাস্থ্যকর মনে করা হয়। দিল্লিতে শনিবার তা ৪০০-র উপরে ছিল অনেক এলাকাতেই। কিছু এলাকায় তো ৫০০-রও উপরে পৌঁছে যায়।
রাজধানীতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলছে। এরই মধ্যে বাতাসে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক দিল্লিবাসী এ দিন জানিয়েছেন, চোখ জ্বালা করছে তাঁদের। জ্বলছে গলাও। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখন বাতাস ঠান্ডা ও ভারী। ফলে দূষিত বায়ু ভেসে চলে যাচ্ছে না। থেকে যাচ্ছে একই জায়গায়। সমস্যা বেড়েছে এতেও।
আরও পড়ুন: দেশে কমেছে অ্যাক্টিভ রোগী, দাবি কেন্দ্রের
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের ওয়েবসাইট ‘সফর’ বলছে, “আর সামান্যতম দূষণ বাড়লে রবি ও সোমবার রাজধানীর বাতাসের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়বে।” ‘পিএম১০’ অর্থাৎ বাতাসে ভেসে থাকা তুলনায় ভারী ও ১০ মাইক্রন পর্যন্ত বড় কণা এবং ‘পিএম২.৫’-এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি হতে পারে রাত ১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে।