শ্রীনগরের বাটামালুতে তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পরে বাহিনীকে নিশানা করে পাথর বিক্ষোভকারীদের। পিটিআই
আপেলের বাগানের দু’দিকে পোঁতা দু-দু’টি পলিমারের জলের ট্যাঙ্ক। তার মধ্যে ভরে রাখা ৫২ কিলোগ্রাম উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে অবন্তীপোরার কড়েয়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে নিরাপত্তা বাহিনীর ধারণা হয়েছে, পুলওয়ামার ধাঁচে হাইওয়েতে বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। যে বাগিচাটি থেকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে, সেটি জাতীয় সড়কের গায়েই। পুলওয়ামা থেকে দূরত্ব ৯ কিলোমিটার।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, প্রথমে একটি ট্যাঙ্কে ৪১৬টি প্যাকেট মেলে, যেগুলিতে ১২৫ গ্রাম করে বিস্ফোরক ভরা ছিল। পরে বাগানের অন্য প্রান্তে আর একটি ট্যাঙ্কে ৫০টি ডিটোনেটর পাওয়া য়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘সুপার ৯০’ নামের বিস্ফোরক যৌগগুলি খুবই মারাত্মক। সরানো ঝুঁকির হতে পারে বলে ওই বাগানের পাশেই বম্ব স্কোয়াড সেগুলিকে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে নষ্ট করে দেয়। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি সিআরপি-র কনভয়ে ধাক্কা মেরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ৪০ জন আধাসেনা প্রাণ হারান তাতে।
এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জম্মু-কাশ্মীরে নিহত হয়েছে স্থানীয় তিন জঙ্গি। গুলিযুদ্ধের মাঝে পড়ে মারা গিয়েছেন এক মহিলা। জখম হয়েছেন সিআরপি-র এক অফিসার এবং এক জওয়ান। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে বুধবার রাতে শ্রীনগরের বাটামালুতে তল্লাশি অভিযানে নামে বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা গুলি চালাতে শুরু করে। জবাব দেয় বাহিনীও। নিহত তিন জঙ্গি দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা। নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা চালাতে তারা শ্রীনগরে এসেছিল। গুলিযুদ্ধে নিহত মহিলার নাম কৌনসার রিয়াজ় (৪৫)। জখম সিআরপি অফিসার এবং জওয়ান হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এই নিয়ে চলতি বছরে ৭২টি অভিযানে ১৭৭ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। দিলবাগের দাবি, নিহত ১৭৭ জন জঙ্গির মধ্যে ২২ জন এসেছিল পাকিস্তান থেকে।