INS TUSHIL

রাশিয়ায় নির্মিত স্টেলথ্‌ ফ্রিগেট আইএনএস তুশিল রওনা হল ভারতে, কোন কোন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে?

এ বার রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেই ‘মেঘনাদ’ পেল ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্টেলথ্‌ মিসাইল ফ্রিগেট’ আইএনএস তুশিল রাশিয়া থেকে রওনা দিল ভারতের পথে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:২৭
Share:

আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্টেলথ্‌ মিসাইল ফ্রিগেট’ আইএনএস তুশিল রাশিয়া থেকে রওনা দিল ভারতের পথে। ছবি: সংগৃহীত।

আড়ালে থেকে শত্রুপক্ষের উপর প্রাণঘাতী আঘাত হানতে দক্ষ। রাবণ-পুত্র ইন্দ্রজিৎ অর্থাৎ মেঘনাদের মতোই। এ বার রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় সেই ‘মেঘনাদ’ পেল ভারতীয় নৌসেনা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্টেলথ্‌ মিসাইল ফ্রিগেট’ আইএনএস তুশিল রাশিয়া থেকে রওনা দিল ভারতের পথে।

Advertisement

২০১৬ সালের সমঝোতা এবং ২০১৮ সালে সই হওয়া চূড়ান্ত চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কালিনিনগ্রাডের জাহাজ কারখানায় ভারতীয় নৌসেনার জন্য ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে দু’টি স্টেল্‌থ ফ্রিগেট। তার প্রথমটি, আইএনএস তুশিল। চলতি বছরে তার সমুদ্রযুদ্ধের মহড়াও হয়েছিল রাশিয়ায়। সেই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ভারতীয় নৌসেনার ২০০ জন অফিসার এবং কর্মী। রবিবার রাশিয়া সফরে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তুশিলকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বুধবার ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শক্রুপক্ষের নজরদারি এড়াতে সক্ষম ৩৯০০ টনের এই ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ওই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় নৌসেনার জন্য আইএনএস তলোয়ার শ্রেণির চারটি স্টেল্‌থ ফ্রিগেট বানাবে রাশিয়া। চুক্তির মোট অঙ্ক ২৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা)। প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌবাহিনীকে আধুনিক যুদ্ধের উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ইউপিএ সরকারের আমলে। সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ হিসেবে পি-১৭এ প্রকল্পে মোট সাতটি শিবালিক গোত্রের ‘স্টেলথ ফ্রিগেট’ নির্মাণ শুরু হয়েছিল প্রায় দেড় দশক আগে। পরবর্তী সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে আধুনিকতর তলোয়ার শ্রেণির ফ্রিগেট নির্মাণের চুক্তি হয়। ব্রহ্মস সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও আইএনএস তুশীলে থাকছে বিমান বিধ্বংসী কামান। থাকছে ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী ৩০ ‘নট’ গতিবেগ সম্পন্ন টর্পোডো। এ ছাড়া দু’টি রুশ কামোভ-২৮ এবং কামোভ- ৩১ হেলিকপ্টার থাকছে তুশিলে। যা শত্রুর অবস্থান পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সিমিত হামলার কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement