কী ভাবে শুকনো শাককে টাটকা করা হল, উপায় দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস করা যাবে না। প্রতীকী ছবি।
শাকসব্জি টাটকা রাখতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কত রকম কৌশল নিয়ে থাকেন তা না দেখলে চোখকে বিশ্বাস করানোই কঠিন হবে। অল্পবিস্তর আমরা অনেকেই জানি, টাটকা দেখানোর জন্য সব্জিতে রং করা হয়। কিন্তু তার থেকেও ভয়ঙ্কর কিছু উপায় অবলম্বন করেন বহু অসাধু ব্যবসায়ী, যা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসে। যা দেখার পর মনে হতেই পারে, এর থেকে এগুলি না খাওয়াই ভাল। জেনেশুনে শাকসব্জিতে বিষ না ঢোকানোই ভাল।
সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যবসায়ী কী ভাবে চোখের নিমেষে শুকিয়ে যাওয়া শাককে একেবারে টাটকা করে তুললেন। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। একটি প্লাস্টিকের পাত্রের উপর তরতাজা শাক রাখা হয়েছে। আর তার ঠিক পাশেই শুকিয়ে যাওয়া শাকের আঁটি রাখা হয়েছে। কয়েক হাত দূরেই বালতির মধ্যে একটি তরল পদার্থ দেখা গেল। সেই তরল পদার্থে শুকিয়ে যাওয়া শাকে আঁটি ডুবিয়ে তুলে নেওয়া হল। তার পর আবার ওই টাটকা শাকের আঁটির পাশে রাখা হল। এর পরের ঘটনা দেখার পর চোখকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না।
মাত্র কয়েক সেকেন্ড। শুকনো শাকের আঁটি ধীরে ধীরে রং পরিবর্তন করতে শুরু করল। পাতাগুলোতে যেন প্রাণ ফিরে এল। কাণ্ডগুলো মুহূর্তেই সবুজ হয়ে উঠল। কয়েক সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে খোলার পর ওই শাকের আঁটিগুলির দিকে তাকিয়ে ধরাই সম্ভব হবে না কোনটা তাজা আর কোনটা শুকনো আঁটি।
যে তরলের মধ্যে ওই শুকনো শাকের আঁটি ডোবানো হয়েছিল, আসলে সেই তরল এক ধরনের রাসায়নিক। যা মৃতপ্রায় গাছেও প্রাণ আনতে পারে। একই সঙ্গে এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে আমাদের নানা রকম রোগের শিকার বানাচ্ছে।