— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
অভিযুক্তকে শায়েস্তা করতে প্রশাসনের হাতিয়াড় ফের বুলডোজ়ার! উজ্জয়িনীতে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়ি বুধবার বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে চলেছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি জমিতে বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল অভিযুক্তের বাড়িটি।
গত সপ্তাহে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় দরজায় দরজায় সাহায্য চেয়ে ঘুরছে ১৫ বছরের এক কিশোরী। সারা দেশে এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ঘটনার তিন দিন পর, গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন অভিযুক্ত ভারত সোনি। তিনি পেশায় অটো চালক। ভারত এখন জেলে। এ বার তাঁর বাড়ি ভাঙা হতে চলেছে।
উজ্জয়িনী পুরসভা জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি জমিতে তৈরি বাড়িতে থাকছে তাঁর পরিবার। পুরসভার কমিশনার রোহন সিংহ জানিয়েছেন, যেহেতু সরকারি জমিতে অভিযুক্তের বাড়ি রয়েছে, তাই তা ভাঙার জন্য আগাম বিজ্ঞপ্তি জারির কোনও প্রয়োজন নেই। মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে মিলিত ভাবে বুধবার পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। উজ্জয়িনী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বাদনগর রোডের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল গোটা ঘটনা। তাতে দেখা গিয়েছিল, কোনও মতে ছেঁড়ে বস্তার টুকরো জড়িয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলছে রক্তাক্ত এক কিশোরী। দরজায় দরজায় সাহায্য চাইছে সে। যদিও সকলেই তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর কান্না শুনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন একটি আশ্রমের এক পুরোহিত। তিনি তোয়ালে জড়িয়ে ওই কিশোরীকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি হলে ইনদওরের এক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে রক্তও দিতে হয়।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ৭০০টি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন দিন পর অভিযুক্ত ভারতকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে যখন অপরাধের পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন সে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ কোনও মতে ধরে ফেলে। ভারতের বাবা ছেলেকে ফাঁসির সাজা দেওয়ার দাবি তুলেছেন। ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, দোষীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।